রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: ১০ বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে বাংলাদেশী দুই বন্ধু বিজন চন্দ্র নাথ (৩৩) ও ফারুক ইসলামের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তাদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বন্ধুতের সুযোগ নিয়ে ফারুক বিভিন্নজনকে ভিসা দেয়ার কথা বলে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রবাসে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আরো চার লাখ টাকা ধার নেয়। টাকা নেয়ার পর বন্ধু বিজনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ফারুক। সম্প্রতি এসব বর্ণনা দিয়ে অভিযোগ করেন বিজন চন্দ্র নাথের ভাই অমর চন্দ্র নাথ। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার চর জব্বর উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নে। অভিযুক্ত ফারুক ইসলামের বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পৌর এলাকার ইছাখালি এলাকায়। লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্তের কথা জানিয়েছেন পুলিশ।
অভিযোগকারী বিজন চন্দ্র নাথ বলেন,“ ফারুক ওমানে যাওয়ার পর সুপার মার্কেটে চাকরি নিয়েছিলেন। সে যেখানে থাকে তার রুমমেট ও আশেপাশের লোকজনের আত্মীয়কে ভিসা দেবে বলে এসব টাকা হাতিয়ে নেয়। সম্প্রতি ফারুক বাংলাদেশে আসে। আসার সময় এক প্রবাসীর ৭ ভরি স্বর্ণ দেশে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে গায়েব করে। তার স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, সে দেশে এসেছে। ভিসার জন্য এসব লোকজন স্বর্ণ বন্ধক রেখে , এনজিও থেকে ঋণ ও ঘরের গরু বিক্রি করে এসব টাকা তার হাতে দিয়েছে। টাকা দেয়ার সময় সাক্ষী ও ডকুমেন্ট রয়েছে।”
যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত ফারুক ইসলামের বাবা বাদশা আলম বলেন. “ ফারুক দেশে এসেছে শুনেছি। তবে বাড়িতে আসেনি। লোকজনের কাছ থেকে ভিসা দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার বিষয়টি জানিনা।
জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. ইলিয়াছ বলেন, “ টাকা লেনদেনের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য তাদের বাড়ি গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”