নিজস্ব প্রতিবেদক : রমজানকে ঘিরে দেশে বিপুল পরিমাণ আমদানি হয় ভোগ্যপণ্য। এসময় কনটেইনার পরিপূর্ণ হয়ে উঠে বন্দর। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে খালাস না হওয়া ৪০ হাজার ৮৯টি কনটেইনার মজুত রয়েছে। ফলে রমজানকে ঘিরে দেখা দিয়েছে কনটেইনার জটের শঙ্কা।
তবে কনটেইনার জট কমাতে আগামী ৯ মার্চের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি না নিলে চারগুণ হারে স্টোররেন্ট আদায়ের প্রজ্ঞাপণ জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করিমের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপণ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রজ্ঞাপণে বলা হয়েছে- চট্টগ্রাম বন্দর ও ঢাকাস্থ কমলাপুর আইসিডিতে (পানগাঁও, আইসিটি ব্যতীত) কনটেইনার ডেলিভারিতে অত্যন্ত ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমদানিকারকরা তাদের আমদানিকৃত কন্টেইনার ২১ দিনের মধ্যে ডেলিভারি না নেওয়ায় বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।
২০০১ এর ১৬০ ধারা অনুযায়ী আমদানিকৃত এফসিএল কনটেইনারের ‘কমন লোডিং ডেট’ এর পর ৫ম দিন থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চারগুণ হারে স্টোররেন্ট আরোপ করতে বাধ্য হবে। তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারি করা হলো।
এ বিষয়ে বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে এই মুহূর্তে প্রায় ৪০ হাজার কনটেইনার মজুত আছে। আমদানিকারকরা আমদানি করা এসব কনটেইনার ডেলিভারি না নিয়ে বন্দরের ইয়ার্ডে ফেলে রেখেছে। অনেকেই আবার চট্টগ্রাম বন্দরকে স্টরেজ হিসেবে ব্যবহার করছে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, আমদানি করা যে কোনো পণ্যবোঝাই কনটেইনার চার দিন পর্যন্ত বিনা শুল্কে বন্দরের ইয়ার্ডে রাখার সুযোগ পান আমদানিকারকরা। পরবর্তীতে ২০ ফুট সাইজের কনটেইনার ৬ ডলার, ৪০ ফুটের কনটেইনারের জন্য ১২ ডলার জরিমানা দিতে হয়। এভাবে প্রতিটি কন্টেইনারে ২৪ এবং ৪৮ ডলার পর্যন্ত জরিমানা আদায় করে বন্দর। এ অবস্থায় আমদানি করা পণ্যবাহী কনটেইনার আগামী ৯ মার্চের মধ্যে ডেলিভারি নিতে নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। নির্দেশনা মানা না হলে ১০ মার্চ থেকে প্রতি কনটেইনারের ওপর চারগুণ হারে মাশুল আদায় করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, শুধু রমজান উপলক্ষে যে এমন প্রজ্ঞাপণ জারি হয়েছে এমন কিন্তু নয়। বন্দরে কনটেইনারের সংখ্যা বেড়ে গেলে আমরা এমন প্রজ্ঞাপণ জারি করি।
তিনি আরও বলেন, বন্দরে কন্টেইনার জটের একটি শঙ্কা থাকে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে ১০ হাজার কনটেইনার পড়ে আছে। যা বন্দরের ১৮ শতাংশ জায়গা দখল করে রেখেছে। ফলে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানোর মতো জরুরি কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
চাটগাঁ নিউজ/এইচএস/এসএ