বন্দরের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: আদালতের আদেশ অমান্য করে পত্রিকায় কর্ণফুলীর জায়গা লিজ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল (নোটিশ) জারি করেছেন উচ্চ আদালত।

মঙ্গলবার ৩ নভেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর আদালতে মামলার আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানি শেষে আদালত রায় অমান্য করে কর্ণফুলী নদীর জায়গা লিজ দেওয়ার উদ্যোগ নেয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও ডেপুটি ম্যানেজার (স্টেট) মোঃ শিহাব উদ্দিনের উপর আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করা হয়। একইসাথে আদালত দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় প্রকাশিত বিগত ৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখের বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কর্ণফুলী নদী রক্ষার্থে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে ২০১০ সালে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। শুনানি শেষে উক্ত রিটে ২০১৬ সালে আদালত কর্ণফুলী নদীর সীমানা জরিপ সংরক্ষণ করার নির্দেশ প্রদান করে রায় দেন।

আদালতের রায় ও নির্দেশনা অমান্য করে, বিগত ৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে ডেপুটি ম্যানেজার/স্টেট দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় একটি দরপত্র আহ্বান করেন। ওই দরপত্রে বলা হয় ফিরিঙ্গি বাজার মৌজার আর এস ৬০১ দাগ ১০ বছরের জন্য লিজ প্রদান করা হবে।

পত্রিকায় প্রকাশিত উক্ত বিজ্ঞপ্তি (এইচআরপিবি)-এর নজরে আসলে গত নভেম্বর HRPB-এর পক্ষে সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সহ তিনজনকে আদালত অবমাননার নোটিশ প্রেরণ করেন। নোটিসের কোন পদক্ষেপ না থাকায় এইচআরপিবি গতকাল ২ ডিসেম্বর একটি আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে।

এইচআরপিবি’র কৌঁসুলি এ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, হাইকোর্ট কর্তৃক কর্ণফুলী নদীর জায়গা উদ্ধার করার নির্দেশনা এবং অপর একটি জনস্বার্থের মামলায় আপিল বিভাগ কর্তৃক নদীর জায়গার লিজ না দেওয়ার আদেশ থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নির্দেশে, কর্ণফুলী নদীর জায়গা লিজ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যাহা আদালত অবমাননার সামিল। এভাবে নদী ভরাট করতে থাকলে কর্ণফুলী নদীর অস্তিত্ব থাকবে না।

এইচআরপিবি’র পক্ষে আবেদনকারী ছিলেন এ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া।

এইচআরপিবি’র পক্ষে শুনানি করেন কৌঁসুলি সিনিয়র এ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।  তাকে সহায়তা করেন এ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি মোঃ তামিম।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি 

Scroll to Top