বড় জয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই শেষ করল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক: বাহরাইনের বিপক্ষে ৭-০ গোলের জয় দিয়ে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক দল মিয়ানমারের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় দিয়ে এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত করে বাংলাদেশের মেয়েরা। আজ তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে সেই ৭-০ গোলের জয়েই বাছাই শেষ করলেন ঋতুপর্ণা চাকমা-আফেইদা খন্দকাররা।

আজ মিয়ানমারের ইয়াংগুন স্টেডিয়ামে নিয়মরক্ষার ম্যাচে প্রথমার্ধেই তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ৭ গোল দেয় বাংলাদেশ। এর মধ্যে প্রথম ৬ গোল আসে ২০ মিনিটের মধ্যেই। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে কোনো গোল করতে ব্যর্থ হয় টাইগ্রেসরা। তারপরও বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়লেন তারা।

আজ তুলনামূলক কম শক্তির তুর্কমেনিস্তানকে পেয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে বাংলাদেশ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির জালে প্রথমার্ধে বাংলাদেশের হয়ে জোড়া গোল করেন ঋতুপর্ণা চাকমা ও শামসুন্নাহার। একটি করে গোল করেন তহুরা খাতুন, মনিকা চাকমা ও স্বপ্না রানী।

বাংলাদেশের হয়ে গোলের খাতা শুরু করেন স্বপ্না। চতুর্থ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে বল জালে জড়ান তিনি। পরের মিনিটেই বাংলাদেশের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন শামসুন্নাহার। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল একবার গোলরক্ষকের হাতে লেগে ফিরলেও ফিরতি বলে গোল আদায় করেন তিনি। ১৩তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে তৃতীয় গোল দেন শামসুন্নাহার। বক্সের ভেতর আলতো টোকায় বল জালে জড়ান তিনি।

বাংলাদেশ গোলের হালি পূরণ করে ১৬তম মিনিটে। বুলেট গতির শটে বল জালে জড়ান মনিকা। তার পরের মিনিটে তুর্কমেনিস্তানের জালে আরও এক গোল। ঋতুপর্ণার শট গোলকিপারের হাতে লাগলেও আটকাতে পারেননি তিনি। ষষ্ঠ গোল পেতেও বেশি সময় লাগেনি টাইগ্রেসদের। এবার গোলের খাতা খোলেন তহুরা। লেফট উইং থেকে বাড়ানো ক্রসের পর আলতো টোকায় বল জালে জড়ান তিনি।

২০ মিনিটের মধ্যে ৬ গোল দিলেও প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর মাত্র ১ গোল পায় বাংলাদেশ। ৪০তম মিনিটে কর্নার থেকে বল আসার পর বক্সের বাইরের দূরূহ কোন থেকে নান্দনিক গোল করেন ঋতুপর্ণা। তাতে ‘সেভেন আপ’ পূরণ করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে অনেক আক্রমণ করেও আর তুর্কমেনিস্তানের দুর্গ ভাঙা যায়নি।

৩ ম্যাচে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়েই এশিয়ান কাপ বাছাই শেষ করল বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আট গ্রুপ রয়েছে। আট গ্রুপের আট চ্যাম্পিয়ন আগামী বছর এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। মিয়ানমারকে দ্বিতীয় ম্যাচে হারিয়েই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। তিন ম্যাচে বাংলাদেশ ১৬ গোল দিয়েছে তিন প্রতিপক্ষকে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের জালে শুধু মাত্র মিয়ানমার একবার বল পাঠিয়েছিল।

চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন

Scroll to Top