বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন বাঁশখালীর জেলে

সিপ্লাস ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জালের সাথে লেগে সাগরে পড়ে মৃত্যুবরণ করেন গণ্ডামারা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব বড়ঘোনার মোহাব্বত আলীর বড় পুত্র মো. আব্দুর রশিদ (৫০)।

সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলের বাহিরে মাছ ধরতে জাল বসানোর সময় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত জেলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাগরে নিষেধাজ্ঞা শেষে গতকাল রবিবার রাতে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চাম্বল বাংলাবাজার এলাকার জসীম বহদ্দারের একটি ফিশিং বোটে শ্রমিক হিসেবে মাঝি-মাল্লাসহ ১৮-২০ জনের বহরে মাছ ধরতে যায় মো.আব্দুর রশিদ।

সেখানে আজ সোমবার সকালে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলের বাহিরে একটি লম্বা গাছ তার ঘাড়ের উপর পড়লে ওই গাছের ধাক্কা খেয়ে আব্দুর রশিদ সাগরে পড়ে যায়। পরে সহযোগীরা সাগরের পানি থেকে তাকে উদ্ধার করলেও ততক্ষণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান সাথে থাকা শ্রমিকরা।

নিহত আব্দুর রশিদ দুই ছেলে ও তিন কন্যা সন্তানের জনক। তার এক মেয়ের বিয়ে হলেও দুই ছেলে পরিবারে সবার ছোট। পরিবারের ব্যয়ভার বহন করতে উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ছিলেন নিহত আব্দুর রশিদ।

নিহত রশিদের প্রতিবেশী মো. মোজাহিদ জানান, আজ সোমবার দুপুরে রশিদের মরদেহ পৌঁছায় তার বাড়িতে।

ওই বোটের লোকজন জানিয়েছেন, ভোরে মাছ ধরতে গিয়ে গোঁজ পোঁতার সময় গাছের ধাক্কা খেয়ে সাগরে পড়ে যান আব্দুর রশিদ। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হলে ততক্ষণে তিনি মারা যান বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাবাজার বোট মালিক সমিতির সভাপতি হেফাজ উদ্দিন জানান, গত রাতে জসিম বহদ্দারের ফিশিং বোটে শ্রমিক হিসেবে গিয়ে গণ্ডামারার আব্দুর রশিদ নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, “জসিম বহদ্দারের সাথে নিহতের পরিবারের স্বজনদের সাথে কথা হয়েছে। বোট মালিক জসিম বহদ্দার নিহতের পরিবারকে কিছু অর্থ সহায়তা দেয়ার কথা দিয়েছেন। এতে দুই পক্ষ সম্মতি পোষণ করায় লাশটি দাফন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

Scroll to Top