চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুগন্ধা সৈকতের নাম ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ করার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনকে পাঠানো চিঠি বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ফলে ওই সৈকতের নাম ‘সুগন্ধা সৈকত’ই থাকছে। পাশাপাশি কলাতলী ও সুগন্ধা সৈকতের মাঝামাঝি এলাকাটির নাম ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ নামকরণের আবেদনও বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, এ সংক্রান্ত যে আবেদনটি জমা পড়েছিল, তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা স্থগিত করা হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় সুগন্ধা সৈকতের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে না।
মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. সাহেব উদ্দিনের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, এর আগে পাঠানো নির্দেশনার ওপর কোনো ব্যবস্থা না নিতে নির্দেশনাক্রমে অনুরোধ করা হলো। একইসঙ্গে আগের পাঠানো চিঠিটি বাতিল বলে গণ্য করা হলো।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল সুগন্ধা সৈকতের নাম পালটে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ নামকরণের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সোলায়মান মিয়া আবেদন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির ১৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়।
ওই সময় সহকারী সচিব সাহেব উদ্দীন বলেন, যেকোনো স্থান বা স্থাপনার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা বা সংশ্লিষ্টদের নামে পরিবর্তনের জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত রয়েছে। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের আবেদন পেয়ে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সহকারী সচিব জানিয়েছিলেন, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রতিটি এলাকাতেই একটি কমিটি রয়েছে। নাম পরিবর্তনের কোনো আবেদন পেলে ওই কমিটির কাছে পাঠানো হয়। তারা এর সম্ভাব্যতা যাচাইসহ সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। মন্ত্রণালয় ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নাম বদলে দেওয়া বা না দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
সুগন্ধা সৈকতের নাম ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ করতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের আবেদনের পর একই প্রক্রিয়ায় মন্ত্রণালয় প্রতিবেদন দিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছিল। সেই চিঠিই এবার বাতিল করল মন্ত্রণালয়। তবে এর পেছনে কোনো কারণ জানানো হয়নি।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ