চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের নতুন বই নিয়ে এবার ঘোর বেকায়দায় পড়ে গেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বই লাগবে প্রায় ৪০ কোটি ১৬ লাখ। অথচ ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষ বই ছাপানো হয়েছে মাত্র ৪ কোটির কাছাকাছি। রাতদিন কাজ চালিয়ে বাকি বই ছাপানো চলছে। এমন অবস্থায় ধরেই নেয়া যায়, বছরের প্রথম দিন বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নতুন বই পাচ্ছে না। তবে কবে নাগাদ সকল শিক্ষার্থী চাহিদা মত নতুন বই পাবে তা নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী বছর মার্চের আগে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দিতে পারবে না সরকার। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, এবার প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় ৪০ কোটি ১৬ লাখ বই ছাপানোর কাজ চলমান। যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকের বইয়ের সংখ্যা ১২ কোটি ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫২টি। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির অর্থাৎ, মাধ্যমিক পর্যায়ের বইয়ের সংখ্যা ২৮ কোটি ৬ লাখ ২২ হাজার ৩৩৭টি। তাছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য সাড়ে ৮ হাজারের বেশি ব্রেইল বই ছাপা হচ্ছে।
ছাপাখানার মালিক, মুদ্রণ শিল্প সমিতি ও এনসিটিবি সূত্র জানায়, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত ৪ কোটির কাছাকাছি পাঠ্যবই ছাপা ও বাঁধাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী এখনো ৩৬ কোটির বেশি বই ছাপানো ও বাঁধাই বাকি। এ ৩৬ কোটি বই ছাপানো ও বাঁধাই কাজ শেষ করে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছতে আরো প্রায় তিন মাসের মত সময় লাগবে। মানে আগামী মার্চের আগে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দিতে পারবে না সরকার।
আবার আগামী ২ মার্চ থেকে রমজান, ঈদের দীর্ঘ ছুটি শুরু হবে। ছুটি শেষে স্কুল খুলবে ৮ এপ্রিল। ফলে এর আগে বই নিয়ে পুরোদমে ক্লাসে বসতে পারবে না শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার্থীরাও নিশ্চিতভাবেই পিছিয়ে পড়বে।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি