চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ নগরীর বায়েজিদে আবু বক্কর নামের একজন ফ্রিল্যান্সারকে তুলে নিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এক পরিদর্শক, ছয় পুলিশ সদস্যসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে ভিকটিমের স্ত্রী হুসনুম মামুরাত লুবাবা।
মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এই ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন, এসআই মো. আলমগীর হোসেন, শাহ পরান ও মৃধুল কান্তি দে, এএসআই বাবুল মিয়া, কনস্টেবল মুমিনুল হক, আবদুর রহমান ও তাদের সহযোগী জাহিদ হোসেন।
মামলার সূত্র থেকে জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বায়েজিদের গুলবাগ আবাসিক এলাকার একটি কুলিং কর্ণারে ভিকটিম ফ্রিল্যান্সার আবু বক্কর চা খাচ্ছিলেন। সেখান থেকে তাকে ও ফয়জুল আমিন নামের অপর একজনকে গাড়িতে তুলে নেন আসামিরা এবং মোবাইল ফোন ও টাকাপয়সা নিয়ে নেন। সেই সাথে তাদের দুজনের আঙ্গুলের ছাপ ও পাসওয়ার্ডও নেওয়া হয়। মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, আবু বক্করসহ দুজনকে গাড়ি করে নগরীর মনসুরাবাদ ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। ডিবি পুলিশের হেফাজতেই তারা ছিলেন। একপর্যায়ে আবু বক্করের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে স্থানান্তর করেন আসামিরা। এ ছাড়া তার বাইন্যান্স অ্যাকাউন্ট (ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিময়) থেকে ২ লাখ ৭৭ হাজার ডলার অর্থাৎ প্রায় তিন কোটি ৩৮ লাখ টাকা স্থানাস্তর করা হয়।
আদালতসূত্রে জানায়, ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি আবু বক্কর ও ফয়জুল আমিনের বিরুদ্ধে সিএমপি অধ্যাদেশে মামলা করা হয় এবং আদালতে পাঠানো হলে বিচারক জরিমানা করে তাদের দুজনকে মুক্তি দেন। বাদীর আইনজীবী শওগতুল আনোয়ার খান বলেন, কোটি টাকা যে হারিয়েছেন তা আবু বক্কর মুক্তির পর বুঝতে পারেন।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন