চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: বছরান্তে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুকসহ মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তথ্য চাওয়ার পরিমাণ বাড়ছে। বিশেষ করে ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধ অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়কালে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের পরিমাণ টানা বাড়তে দেখা গেছে। সেই অনুপাতে সাড়া দেওয়ার পরিমাণও বাড়িয়েছে ফেসবুক। সম্প্রতি এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফেসবুক।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুকের কাছে মোট ৯৮৮টি অনুরোধ পাঠানো হয়। যার মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার অনুরোধ ৯৫৬টি এবং জরুরি ভিত্তিতে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ ৩২টি। এই সময়কালে সরকার ফেসবুকের কাছে মোট ১ হাজার ৪৫৪টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়ে অনুরোধ করে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের বিপরীতে ৬৭ দশমিক ২১ শতাংশ তথ্য দিয়েছে ফেসবুক। আবার গত বছর জুন থেকে এবছর জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দুই হাজার ৫০০’র বেশি কনটেন্টে ব্যবহারকারীর প্রবেশ সীমিত করেছে ফেসবুক। আইনি প্রক্রিয়ায় অনুরোধের ৬৯ শতাংশ ক্ষেত্রে মেটা তথ্য সরবরাহ করেছে। জরুরিভিত্তিতে অনুরোধের ক্ষেত্রে তথ্য সরবরাহ করেছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এছাড়া এই সময়কালে ফৌজদারি তদন্তের জন্য ২৮টি অনুরোধে ৪০টি অ্যাকাউন্টের তথ্য সংরক্ষণের জন্য ফেসবুককে বলা হয়েছিল। আবার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেসবুক বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ২৭০টি কনটেন্টে ব্যবহারকারীর প্রবেশ সীমিত করেছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২৬০টি ফেসবুক পোস্ট, ১০টি ফেসবুক প্রোফাইল রয়েছে।
এর আগের ধাপে অর্থাৎ গত বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালে বাংলাদেশ সরকার ফেসবুকের কাছে ৮৩৬টি অনুরোধ করেছিল যার ৭৭২টি আইনি প্রক্রিয়ার আর ৬৪টি জরুরি ভিত্তিতে তথ্য দেওয়ার জন্য। সেই সময় মেটার কাছে মোট ১ হাজার ২৭৮টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিল সরকার। যার বিপরীতে মেটা বাংলাদেশ সরকারকে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করে।
প্রতিবেদনটিতে আরও জানানো হয়, ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের রিপোর্ট করা ২ হাজার ৫৭৮টি আইটেমে বাংলাদেশ থেকে ব্যবহারকারীর প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। সংখ্যাটি আগের বছরের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি।