ফেনীতে পানিতে ডুবে রাঙ্গুনিয়ার যুবকের মৃত্যু

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: ফেনীতে পানিতে ডুবে মারা গেছে আবু বক্কর ছিদ্দিক (২৮) নামে রাঙ্গুনিয়ার এক ব্যক্তি। শনিবার সন্ধ্যায় সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকায় ফেনী নদী থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার (১১ মে) দুপুরে তার লাশ স্বজনরা নিজ বাড়ি রাঙ্গুনিয়ায় নিয়ে আসেন। একইদিন মাগরিবের নামাজের পর মরিয়মনগর পূর্ব সৈয়দ বাড়ি জামে মসজিদ মাঠে তার নামাজের জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

একসময় নও মুসলিম থাকা আবু বক্কর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পূর্বে নাম ছিলো প্রণব কুমার দে। তিনি উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস উত্তর পদুয়া এলাকার তপন কান্তি দে’র ছেলে। তবে ইসলাম ধর্মগ্রহণের পর সে মরিয়মনগর ইউনিয়নের ভাড়া বাসায় থাকতেন বলে জানা যায়। সেখান থেকেই কাজের সন্ধানে ফেনী গিয়ে তিনি এই মর্মান্তিক পরিণতির মুখে পড়েন।

ফেনীর স্থানীয় সাংবাদিক মো. দোলাল তালুকদারের মাধ্যমে জানা যায়, নিহত আবু বক্কর একজন ঠিকাদারের মাধ্যমে শ্রমিক হিসেবে নদী ভাঙ্গন রোধে বালুর বস্তা ফেলার কাজ করছিলেন। তার সহকর্মীদের ভাষ্যমতে তিনি গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার তার মরদেহটি পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। একপর্যায়ে বেওয়ারিশ হিসেবে তার লাশের দাফন নাকি সৎকার করা হবে তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম নেয়। এই নিয়ে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা লাশ নিতে আগ্রহ দেখায়নি। পরে তার শ্বশুর এসে লাশ নিয়ে যান বলে জানান তিনি।

মুহাম্মদ সোহেল রানা নামে মরিয়মনগর পূর্ব সৈয়দবাড়ি গ্রামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, তার মূল বাড়ি পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস গ্রামে। রাজারহাট বাজারে একটি দর্জির দোকান ছিলো। পরে মরিয়মনগর পূর্ব সৈয়দবাড়ি এলাকায় দর্জির দোকানও দেয়। করোনাকালীন সময়ে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বিয়েও করেন স্থানীয় এক তরুণীকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার স্ত্রী বাচ্চা জন্মদিতে গিয়ে ইন্তেকাল করেন। বর্তমানে তার পুত্র সন্তানের বয়স দুই বছর। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের কারণে তার পরিবাররের সাথেও তার যোগাযোগ নেই।

একসময় তার দর্জির দোকান বিক্রি করে কাজের সন্ধানে চট্টগ্রাম শহরসহ বিভিন্ন জায়গায় যায়। এরমধ্যে হঠাৎ তার এমন মৃত্যুর সংবাদে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার পুত্র সন্তান নানার বাড়িতে রয়েছে। লাশটিও এলাকাবাসীর সহায়তায় মরিয়মনগর পূর্ব সৈয়দবাড়ি গ্রামে এনে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী দাফন করা হয়।

চাটগাঁ নিউজ/জগলুল/এমকেএন

Scroll to Top