ফাইনাল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের দরকার ১৩৬ রান
এশিয়া কাপ ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনালে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়ে পাকিস্তানকে বিপর্যয়ে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে পাকিস্তানের লেজের দিকের ব্যাটাররা সেই বিপর্যয় সামলে ভালোই ব্যাটিং করেছেন। ৭১ রানে ৬ উইকেট হারানো দলটি শেষদিকে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে করে আরও ৬৪ রান। তাতে ফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৩৬ রান।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এদিন প্রথম দুই ওভারেই পাকিস্তানের দুই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের করা প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে রিশাদ হোসেনের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাহিবজাদা ফারহান। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাসকিনের শততম উইকেট।

দ্বিতীয় ওভারে আবারও উইকেট হারায় পাকিস্তান। এবার আঘাত স্পিনের। শেখ মেহেদি হাসানের বলে সেই রিশাদের হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাইম আইয়ুব। চলমান এশিয়া কাপে যা তার চতুর্থ ‘শূন্য’ রানে আউট হওয়ার ঘটনা। তৃতীয় উইকেটে বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে পাকিস্তান। ২৪ রান যোগ করেন ফখর জামান ও সালমান আলি আগা।

প্রথম দুইজনের ক্যাচ নেওয়া রিশাদ এরপর আঘাত হানেন বল হাতে। দলীয় সপ্তম ওভারে ফখর জামানকে (২০ বলে ১৩) তানজিম হাসানের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। এরপর হুসাইন তালাতকেও ফেরান তিনি। ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। এরপর বিপদ সামালের চেষ্টা করলেও অধিনায়ক সালমান আলি আগাও টিকতে পারেননি মোস্তাফিজুর রহমানের সামনে। দলীয় ৪৯ রানে ২৩ বলে ১৯ রান করে তিনি ফিরলে মহাবিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান।

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২৭ রান করা পাকিস্তান ১০ ওভারে করে ৪৬ রান। ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারানো পাকিস্তান দলীয় ৭১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায়। ১৩ বলে ১৯ রান করা শাহিন আফ্রিদিকে ফেরান তাসকিন। তার দেখানো পথে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন মোহাম্মদ হারিস আর মোহাম্মদ নওয়াজও। হারিসের ব্যাটে ২৩ বলে ৩১ ও নওয়াজের ব্যাটে আসে ১৫ বলে ২৫ রান। ৯ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থেকে অবদান রাখেন ফাহিম আশরাফও। তাতে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় পাকিস্তান।

বল হাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল তাসকিন। ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তিনি। ৪ ওভার বল করে ২ উইকেট নেওয়া রিশাদ খরচ করেন মাত্র ১৮ রান। তাসকিনের সমান ওভার ও রান খরচ করে ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদি হাসান। বাকি উইকেটটি মোস্তাফিজের।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top