চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে একটি মাদ্রাসার শূরা কমিটির বৈঠক করতে পারেননি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। জানা গেছে এলাকাবাসীর বাধায় তিনি মাদ্রাসায় প্রবেশ করতে পারেন নি।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) স্থানীয় আজাদী বাজার আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় শূরা কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। পরে হেফাজত আমিরের নিজ মাদ্রাসা আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরে ওই মাদ্রাসার শূরা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, ওই মাদ্রাসায় আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরীর আসার খবরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল আমিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এর মধ্যে এলাকাবাসী ও মাদ্রাসা ছাত্রদের স্লোগানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। অন্যদিকে মাদ্রাসার শূরা কমিটির বৈঠক করতে মহিবুল্লাহ বাবুনগরীও নানুপুর পর্যন্ত এসে ফিরে যান।
তবে এ প্রসঙ্গে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হেফাজত আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এলাকাবাসীর তোপের মুখে হেফাজতের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর মেয়ের জামাতা মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদীকে উক্ত মাদ্রাসা থেকে কয়েক মাস আগে বহিষ্কার করা হয়। তার পরিবর্তে নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় মাদরাসার প্রবীণ আলেম মাওলানা জাফর উল্লাহকে। তার তত্ত্বাবধানে মাদ্রাসাটি সুচারুরূপে পরিচালিত হলেও বহিষ্কৃত মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদী ৫ আগস্ট সরকারের পট পরিবর্তন হলে আবার পুনরায় মুহতামিম পদ (নির্বাহী পরিচালক) ভাগিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন এলাকাবাসীসহ মাদরাসার শিক্ষার্থী-শিক্ষক।
এমন পরিস্থিতিতে সবশেষ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মাদ্রাসার শূরা কমিটির বৈঠক ডাকেন হেফজাতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।
কিন্তু এলাকাবাসীদের বাদ দিয়ে একপক্ষের হয়ে শূরা বৈঠকের পরিকল্পনা করার অভিযোগ ওঠে হেফাজত আমিরের বিরুদ্ধে। তাই হেফাজত আমিরের বৈঠক করতে মাদ্রাসায় আসার খবর পেয়ে বুধবার সকাল থেকে মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার বাইরে অবস্থান নেন শত শত এলাকাবাসী।
দিনভর নানা গুঞ্জনের পর বিকেলে হেফাজত আমির নিজ মাদ্রাসা জামেয়া বাবুনগরে শূরা কমিটির বৈঠক করতে বাধ্য হন। বৈঠকে মাওলানা আলমগীরকে মুহতামিম ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এ শূরা কমিটির বৈঠককে অবৈধ বলে আবারও সংবাদ সম্মেলন করেছে আজাদী বাজার মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ