ফটিকছড়িতে হেলে পড়েছে সাততলা ভবন, ঝুঁকিতে বসবাস

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ফটিকছড়ি পৌরসভায় একটি সাততলা ভবন হেলে পড়েছে। ভবনের ওপরের অংশ ১৮ থেকে ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী ভবনে হেলে পড়ে।

জানা যায়, ফটিকছড়ি পৌরসভার বাসিন্দা প্রবাসী মো. আবদুল খালেক ৩১ শতক নাল জমিতে ২০১৯ সালে ছয়তলা ভবনের অনুমোদন নিয়ে সাততলা ভবনটি নির্মাণ করেন। কিন্তু অনুমোদন ছাড়া এক তলা অতিরিক্ত নির্মাণ করলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এতে বাধা দেয়নি। নির্মাণের পর থেকে ওই বাড়িটি ফ্ল্যাট ভাড়াও দেওয়া হয়। নির্মাণের প্রথমদিকে ভবনটি ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি হেলে পড়ে। ভবনটিতে মালিকসহ ২১ পরিবার বাস করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. তসলিম বলেন, এটির অবস্থা খুবই খারাপ। এটি বর্তমানে ঝুঁকে পড়েছে প্রায় ১৮ থেকে ২০ ইঞ্চি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে বহু লোক থাকলেও দেখার কেউ নেই। যেকোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ভবনটির তত্ত্বাবধান করেন খালেকের স্বজন মো. নেজাম উদ্দিন বুলবুল বলেন, কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছেন। প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে ভবন নির্মাণ হয়েছে। ভবনটি একটু বাঁকা দেখতে। এতেই হেলে পড়েছে মনে হয়, কিন্তু ভবনটি হেলে পড়েনি। ভবনে সবাই বসবাস করছে।

ফটিকছড়ি পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী রাজীব বড়ুয়া বলেন, ভবনটির ছয়তলার অনুমোদন আছে। পরে অন্যায়ভাবে তিনি সাততলা করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কনসার্টিং প্রতিষ্ঠান থেকে ‘ঝুঁকিমুক্ত’ সনদ দিতে বলা হয়েছে।

ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ভবনটি হেলে পড়ার বিষয়ে আমরা অবগত। যেহেতু এখনও কোনো স্ট্রাকচারাল ক্ষতি হয়নি, তাই বাসিন্দারা এখনো আছে।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ভবনের বাসিন্দাদের কেউ বলছেন, আগে থেকেই খানিকটা হেলে ছিল। কেউ বলছেন ইদানিং এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top