ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: আজ সকাল থেকেই ফটিকছড়ির আকাশে নেমে এসেছে এক অদ্ভুত নীরবতা। চারদিকে অন্ধকার, থেমে গেছে জীবনযাত্রার স্বাভাবিক ছন্দ। কারণ, দেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা ফটিকছড়িতে হঠাৎ করেই পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের লাইনম্যান ও কারিগরি কর্মকর্তারা একযোগে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
অফিসে গিয়ে জমা দিয়েছেন কাজের সরঞ্জাম, অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল ফোন, গাড়ির চাবি, এমনকি গণছুটির ফরমও। এরপর একে একে খালি করে ফেলেছেন কর্মস্থল। ফলে পুরো ফটিকছড়ি অন্ধকারে ডুবে গেছে।
বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পৌরসভা থেকে নাজিরহাট—সবখানেই একই চিত্র।
একজন ক্ষুব্ধ গ্রাহক বলছিলেন বিদ্যুৎ পাই না, বিল দিই ঠিকই। ফোন করলে অফিস থেকে কেউ রিসিভ করে না। এখন আবার কর্মবিরতি! আমাদের কি জিম্মি করে রাখা হয়েছে?
এক যুবক আক্ষেপ করে বললেন ফটিকছড়িবাসী ধৈর্য ধরে আছে। কিন্তু একবার যদি ক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় নামে, তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল হবে।
হঠাৎ এই অচলাবস্থায় যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি ফটিকছড়ি পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ম্যানেজার আবুল বাশার শামসুদ্দিন আহমদকে।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানালেন, পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের আন্দোলন শেষ করে কাজে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে বিকল্পভাবে আউটসোর্সিং লোকবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎবিহীন ফটিকছড়ির গ্রামগুলোতে সন্ধ্যা নামার আগেই নেমে আসে অন্ধকার। দোকানপাট বন্ধ, বাড়িঘরে ঝিম ধরা পরিবেশ। রোগীদের জন্য ফার্মেসিগুলোতেও চলছে ভোগান্তি। সবমিলিয়ে জীবনযাত্রা হয়ে পড়েছে অচল।
এখন প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ আর দ্রুত সমাধানই পারে ফটিকছড়িবাসীর দুর্ভোগ লাঘব করতে।
চাটগাঁ নিউজ/আনোয়ার/এমকেএন