ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ফটিকছড়িতে প্রতিনিয়তই উজাড় হচ্ছে সরকারী বাগানের কাঠ। চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ধুরুং বনবিট হতে রাতের আঁধারে মূল্যবান কাঠ প্রাচার করে একাধিক সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংককের টাকা।
এদিকে কাঠ পাচারকারীদের সাথে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের যোগসাজস রয়েছে, এমন আতংকে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা স্থানীয়রা।
গত (৮ অক্টোবর) উপজেলার কাঞ্চন নগর ইউনিয়নস্থ ধুরুং বিট এলাকায় কাঠ পাচার ঠেকাতে গিয়ে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বাঁধার মুখে পড়েন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি পাচারকারীরা কাঞ্চন নগরে বিটের পরিত্যাক্ত অফিসের পাশ্ববর্তী স্থান হতে ৪ টি বড় আকারের সেগুন গাছ কর্তন করে। এর মধ্যে কয়েকটি কাঠের টুকরা নিয়ে যেতে সক্ষম হলেও জানাজানি হওয়ায় বাকী কাঠ না নিয়েই সটকে পড়ে তারা।
অপরদিকে, বন বিভাগ সূত্রে জানগেছে উর্ধতন মহলের নির্দেশ পেয়ে নারায়নহাট রেঞ্জের কর্মকর্তারা কর্তনকৃত কাঠ উদ্ধার করতে গেলে অস্ত্রের ভয় দেখায় পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা। এসময় কাঠ উদ্ধার না করেই ফিরতে হয তাদের।
জানতে চাইলে নারায়নহাট রেঞ্জ কর্মকর্তা ইলিয়াছুর রহমান বলেন, বিষয়টি ইতিমধ্যে ফটিকছড়ি থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে। তাঁরা সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়ে কাঠগুলো উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় (উত্তর) বন কর্মকর্তা এস.এম কায়ছারবে মুঠোফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ধুরুং বন বিট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কখনো পাহাড়ী সন্ত্রাসী, কখনো তাদের দোহাই দিয়ে সরকারী বাগানের কাঠ পাচার কাজে সক্রিয় স্থানীয় একাধিক গ্রুপ। চক্রটি সরকারী বগানের গাছ কর্তনের সময় এলাকায় আতংক ছড়ানোর জন্য পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে থাকে বলে কথিত আছে। পাশাপাশি কাঠ পাচারের নেপথ্যে গুটিকয়েক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ছাড়াও সরকার দলীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত বলে জানাগেছে।