ফটিকছড়িতে কোরবানি ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারীরা

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে কোরবানির পশু প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারীরা।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, এবছর ৩ শত ৭৭টি খামারে ৩৮ হাজার ২ শত ১১ টি গরু, ৪ হাজার ১ শত ১২ টি মহিষ, ২৮ হাজার ৭ শত ৪০ টি ছাগল, ২ হাজর ৩ শত ৫৬ টি ভেড়াসহ মোট ৬৯ হাজার ৪ শত ১৯টি পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে।

কোরবানির জন্য উপজেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৪৭ হাজার ৩ শত ২০টি। ফলে চাহিদার চেয়ে কিছুটা বেশি পশু উৎপাদন হয়েছে। তবে বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বেশি বলে জানা গেছে। খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার অনেক খামার এখনো প্রাণিসম্পদ দপ্তরে নিবন্ধিত নয়। এছাড়া বহু গৃহস্থ নিজ উদ্যোগে গরু-ছাগল মোটাতাজা করেছেন।

সব মিলিয়ে উপজেলায় প্রায় লক্ষাদিক কোরবানির পশু প্রস্তুত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফটিকছড়ির প্রধান কোরবানির গরুরহাটে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু এসে থাকে।

এছাড়া উপজেলার স্থায়ী-অস্থায়ী-গরুর হাটেও আশে পাশের উপজেলা থেকে কোরবানির পশু আসে। তবে বাইরের পশুর চেয়ে স্থানীয় পশুর ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যায়। ক্রেতারা স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পালিত স্থানীয় পশুর দিকেই বেশি ঝুঁকছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মুমিন বলেন, খামারীদের নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এবার মোট ৬৯ হাজার ৪ শত ১৯ টি পশু, তবে চাহিদায় তুলনায় বেশি পশু প্রস্তুত করেছে খামারীরা। স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির পশুরহাটে আমাদের ৬টি মেডিকেল টিম নিয়মিত কাজ করছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বলেন, এ বছর উপজেলায় কোরবানির পশুর হাটে প্রশাসনের পক্ষে থেকেগ নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর রয়েছে। মেডিকেল টিম ও জাল টাকা প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন

Scroll to Top