নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২৪ ঘন্টার ব্যাবধানে পাল্টে গেল ফটিকছড়ির নির্বাচনের হাওয়া। গতকাল (২৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত তথ্য ছিলো বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে সরে যাবে নৌকার প্রার্থী। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর (শনিবার) সরেজমিনে ফটিকছড়ি গিয়ে দেখা যায়, এখনো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। ভুজপুর ইউনিয়নে প্রচারণায় তাঁর সাথে অংশ নেন এলাকার শত শত মানুষ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী, পৌর মেয়র ইসমাইল হোসেন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ বাকেরসহ আরো অনেকেই ।
এসময় একতারাকে সমর্থন দেয়ার বিষয়ে কেন্দ্রের কোন নির্দেশনা আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে সনি চাটগাঁ নিউজকে বলেন, আমার কাছে কেউ ফোন করেননি। আপনারা যেভাবে বিভিন্ন মিডিয়ায় শুনেছেন আমিও একইভাবে শুনেছি। সরাসরি আমাকে এখনও কেউ বলেনি।
এসময় চট্টগ্রামের উত্তর জেলা ও ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের ফোন করার বিষয়ে সনির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাকে ফোন করেছে বা কাকে বলেছে সেটা আমার বিষয় না। আমাকে কেউ সরাসরি বলে নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকার নমিনেশনটাতো আমাকেই দিয়েছেন। ফোন করলে তো আমাকেই করার কথা তাই না?
এসময় নৌকার প্রচারণায় উপস্থিত থাকা ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরির কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটা সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল। এখানে রাজনৈতিক দলের যে নিয়মতান্ত্রিক বিষয়গুলো আছে তা আমাদের অনুসরণ করতে হবে। একজনকে ফোন করে দিলেই কোনো কিছু বাস্তবায়ন হয় না, অবশ্যই তা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হওয়ার কথা। নৌকা বাতিলের সেরকম কোনো প্রক্রিয়া এখানে এখনো শুরু হয়নি। নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছে, তাদেরকে ব্যাক করার কোনো সুযোগ নেই, আর কেউ ব্যাকও করতে চাইনা। এখন পর্যন্ত ফটিকছড়ির মানুষ বিভ্রান্তমুক্ত, সবাই নিশ্চিত যে নির্বাচনের মাঠে এখনো নৌকার প্রার্থী আছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার) উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতা চাটগাঁ নিউজকে মুঠোফোনে বলেছিলেন তাঁকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ফোন করেছেন একতারার পক্ষে কাজ করার জন্য। নির্দেশ ছিলো নৌকা ঘাটে বেঁধে রাখতে বলেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
তবে শেষ পর্যন্ত ফটিকছড়িতে কি হতে যাচ্ছে তা সময়েই বলে দিবে বলে মনে করছেন ভোটার ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।