প্লাটিলেট নয়, ডেঙ্গুর ভয় শক সিনড্রোম ও হেমাটোক্রেট লেবেল

মৃত্যু এক, আক্রান্ত ৪৩ জন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আনতেহারা (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত এই বৃদ্ধা শক সিনড্রোমে মারা গেছেন। তিনি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে মারা যান তিনি।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, এই নিয়ে চলতি মাসে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা আট জন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৪৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন, নারী ১২ এবং শিশু ১২ জন।

চলতি বছর জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ জন নারী, ১১ জন পুরুষ এবং ৪ জন শিশু। এ বছর এখন পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৪৪৮ জন। এর মধ্যে চলতি নভেম্বরের আট দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৩ জন, মৃত্যু হয়েছে আট জনের।

তবে সাধারণ মানুষ মনে করে থাকেন- ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের প্লাটিলেট কমে যাওয়া মৃত্যুর প্রধান কারণ। সেজন্য আক্রান্ত রোগীর স্বজনরা সাধারণত রোগীর রক্তের প্লাটিলেট নিয়ে শঙ্কিত থাকেন। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, প্লাটিলেট নয়, ডেঙ্গু রোগীর মূল সমস্যা শক সিনড্রোম এবং হেমাটোক্রেট লেবেল কমে যাওয়া।

এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমাম হোসেন রানা চাটগাঁ নিউজকে বলেন, প্লাটিলেট কমে গেলে তা রিকভারি হয়। কিন্তু ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হলে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যেতে পারে। রোগীর ত্বক শীতল হয়ে যাবে। ত্বকের ভেতরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ফলে ত্বকের ওপর লাল লাল ছোপ সৃষ্টি হয়। বমি, মল কিংবা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, প্রচণ্ড পেটব্যথা ও নাক-দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হয় । কখনো মস্তিষ্কের ভেতর রক্তক্ষরণ হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু রোগীর আরেকটি সমস্যা হল রক্তে হেমাটোক্রেট লেবেল কমে যাওয়া। রক্তে লোহিত কণিকার হার কমে যাওয়া। রক্তে হেমাটোক্রেট লেবেল কমে গেলে অক্সিজেন সাপ্লাই হতে পারে না। যেহেতু লোহিত রক্ত ​​কণিকার উদ্দেশ্য হল ফুসফুস থেকে শরীরের টিস্যুতে অক্সিজেন সাপ্লাই করা। কাজেই লোহিত কণিকার হার কমে গেলে শরীরের টিস্যুতে অক্সিজেন সাপ্লাইও কমে যাবে।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি

Scroll to Top