চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: মানুষ ভালবাসার কাঙ্গাল। ভালবাসার জন্য মানুষ কি না করতে পারে? লায়লীকে পাওয়ার জন্য মজনু নাকি পাথরের পাহাড় কেটেছিলেন। আসলে প্রেম এমনই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম হয় পাকিস্তানের যুবক আলীমের সাথে খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গার বৃষ্টির। দীর্ঘ আট মাস প্রেমের পর তাদের এই প্রেম সত্যি করতে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ ছুটে এসেছেন আলীম উদ্দিন। ১৯ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি আদালতে আলীম-বৃষ্টির বিয়ে হয়। রোববার ২২ ডিসেম্বর তাদের আবার পারিবারিক বিয়ে হয়।
এই নিয়ে আলীম উদ্দিন জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ৮ মাস আগে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি (২১) সঙ্গে তার পরিচয় হয়। বর্তমানে আমরা বিবাহিত। বৃষ্টি খাগড়াছড়ি কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বৃষ্টির জন্য পাসপোর্ট তৈরির কাজ চলছে। পাসপোর্ট পাওয়ার পর ভিসা পেলে বউকে নিয়ে দেশে যাব।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টির বাড়ি খাগড়াছড়ি উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের উত্তর পাড়ার আবুল হোসেনের মেয়ে। আবদুল আলীমের বাড়ি পাকিস্তানের লাহোরে। পরিচয়ের কিছুদিন পর দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তান হতে চট্টগ্রামে আসেন আলীম। ৮ দিন চট্টগ্রামের একটি হোটেলে ছিলাম। তারপর ১৯ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির আদালতে আমাদের বিয়ে হয়। পরে গতকাল রোববার মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি উত্তর পাড়ার মেয়ের বাবার বাড়িতে আবারও বিয়ে হয় তাদের। বর্তমানে বর-কনে খাগড়াছড়িতে অবস্থান করছেন।
মেয়ের বাবা আবুল হোসেন বলেন, ছেলে পাকিস্তানি হওয়ায় প্রথমে আমরা তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে চাইনি। তারা যেহেতু প্রাপ্তবয়স্ক এবং বিয়ে হয়েছে তাই মেনে নিয়েছি। বিয়ের কোনো আনুষ্ঠানিকতা না হওয়ায় বিয়ের কাগজপত্র ও ছবি নেই বলে জানান তিনি।
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মো. তৌফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি এবং খতিয়ে দেখছি।
চাটগাঁ নিউজ/ ইউডি