সিপ্লাস ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার (নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময়) দুপুর ১টায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে সাধারণ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অন্যান্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয় তুলে ধরবেন।
শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ভাষণের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১৭তম বারের মতো ইউএনজিএ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেবেন।
এ বছরের ইউএনজিএ’র মূল প্রতিপাদ্য হলো : ‘আস্থা পুনর্গঠন ও বিশ্বব্যাপী সংহতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা: সকলের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্বের লক্ষ্যে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে ত্বরান্বিতকরণ পদক্ষেপ।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছান। তিনি আগামীকাল ওয়াশিংটনের উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন সফর শেষ করে তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সেখানে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত অবস্থান করবেন এবং অবশেষে ৪ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মূল বিষয়বস্তু
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মূল বিষয়বস্তু নিম্নরূপ:
- রোহিঙ্গা সংকট: প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও দৃঢ় পদক্ষেপের আহ্বান জানাবেন। তিনি উল্লেখ করবেন যে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ একটি বড় ত্যাগ করেছে।
- জলবায়ু পরিবর্তন: প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান জানাবেন। তিনি উল্লেখ করবেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের মতো নিম্ন-আয়ের দেশগুলিকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
- অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রগতির কথা তুলে ধরবেন। তিনি উল্লেখ করবেন যে, বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
- অন্যান্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয়: প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয় যেমন শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও ডেমোক্রেসির উপরও আলোকপাত করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের গুরুত্ব
প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের গুরুত্ব নিম্নরূপ:
- এটি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে আরও জোরদার করবে।
- এটি বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিষয়ে তার অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ দেবে।
- এটি বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করবে।