চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: যশোরের চৌগাছায় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১০) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী চাচা মো. মিঠুর (২৮) বিরুদ্ধে। এ সময় শিশুটি মিঠুর হাতে কামড় দেয় এবং চিৎকার দেয়। এতে অন্য প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে মিঠু পালিয়ে যান। এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মহেশপুর সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তর বাড়ির পাশের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিশুটি জানায়, প্রতিবেশী চাচা মিঠু তাকে বলে তোর বু (দাদি) মাঠে পাতা (জ্বালারির জন্য মেহগনিসহ বিভিন্ন গাছের পাতা) কুড়িয়েছে। আনতে তোকে ডাকছে। এ কথা শুনে শিশুটি মিঠুর সঙ্গে মাঠে যায়। কিন্তু মিঠু তাকে মাঠের পেয়ারা বাগানসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে চান। তখন শিশুটি বলে, ‘কই বু’ তো নেই, পাতাও নেই। ‘আমি বাড়ি যাব। আমাকে বাড়ি নিয়ে চলেন।’ মিঠু তখন শিশুটিকে বলেন, ‘তুই নিজের মতো চলে যা।’ শিশুটি বলে, ‘আমি বাড়ির রাস্তা চিনতে পারছিনে। পাকা রাস্তায় (মাঠের মাঝ দিয়ে পাকা রাস্তা গ্রামে গেছে) উঠিয়ে দেন। আমি যেতে পারব।’ মিঠু তখন বাগানের মধ্য দিয়ে একটি কবরস্থানের পাশ দিয়ে তাকে নিয়ে যেতে চায়। শিশুটি যেতে না চাইলে তাকে বলেন, ‘তোকে কিন্তু মারব।’ শিশুটি কেন মারবেন বলে বিতর্ক করলে মিঠু মেয়েটির বুকের মাঝে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে তার ওপর চড়ে বসে জোরাজুরি করতে থাকে। এমনকি তার গায়ের জামাও ছিড়ে ফেলে। শিশুটি চিৎকার করতে করতে একপর্যায়ে ধর্ষক মিঠুর হাতে কামড়ে দেয়। এ সময় শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এবং মাঠে কর্মরত কৃষকরা এগিয়ে আসলে মিঠু শিশুটিকে ছেড়ে পালিয়ে যান।
পরে শিশুটির দাদি ও মা-চাচিরা ঘটনস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
এ ঘটনায় চৌগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত যুবককে আটক করতে অভিযানে নামে।
পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমরা অভিযানে রয়েছি। এখন পর্যন্ত (২.৪৫মিনিট) অভিযুক্তকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার অভিভাবকরা থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তকে আটকে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন