আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে চাঁদাবাজি ও হত্যার মতো অপরাধ। সংঘবদ্ধ এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। তবে এবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী লিমায় এক মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, সোমবার পেরুর রাজধানী লিমায় এক মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। চাঁদাবাজির সাথে জড়িত হত্যাকাণ্ডের পর এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
রোববার ৩৯ বছর বয়সী গায়ক পল ফ্লোরেসকে লিমার বাইরে একটি কনসার্ট থেকে বেরিয়ে আসার সময় হামলাকারীরা গুলি করে হত্যা করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সঙ্গীতশিল্পীদের একটি অপরাধী চক্র তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করার হুমকি দিয়েছিল।
ল্যাটিন আমেরিকাজুড়ে চাঁদাবাজি একটি সমস্যা হলেও, পেরুতে এটি উদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে। এই ঘটনাটির জন্য আংশিকভাবে দায়ী ভেনেজুয়েলার ট্রেন ডি আরাগুয়ার মতো অপরাধী চক্র। যারা বেশ কয়েকটি ল্যাটিন আমেরিকার দেশে কাজ করে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত পেরুতে ৪৫০টিরও বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে। ফ্লোরেসের হত্যার পর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা আর একটি মৃত্যুও হতে দেব না।’ একইসঙ্গে তিনি খুনি এবং চাঁদাবাজদের মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহাল করার বিষয়ে বিবেচনার কথাও বলেন।
লিমা এবং এর বন্দর কালাওতে কার্যকর জরুরি অবস্থার অধীনে রয়েছে। ফলে সরকার এখন নাগরিক স্বাধীনতা যেমন সমাবেশের অধিকার স্থগিত করতে পারে এবং বাড়ি তল্লাশি চালানো যেতে পারে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ