পেকুয়ায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন

পেকুয়া প্রতিনিধি: পেকুয়ায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রাম কক্সবাজারে ৬ নং বিপদ সংকেত জারির পর ভারী বর্ষণে পাহাড় ধ্বংসের আশংকায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা। তিনি বলেন, আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলায় আমরা ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতিমধ্যেই ৭টি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাঠে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকেরা সচেতনতায় প্রচার -প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ঝুকিপূর্ণ ইউনিয়ন হিসেবে রাজাখালী মগনামা উজানটিয়া ও পেকুয়া সদর এই ছাড়া পাহাড় বেষ্টিত ইউনিয়ন শিলখালী ও টৈটং এলাকায় গহীন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।

পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলায় আমরা ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কাজ চলছে। পর্যন্ত শুকনো খাবার মজুদ আছে। এই ছাড়াও মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।

উপজেলা সিপিপি টিম লিডার আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী বাবুল বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ সংকেত প্রচারে আমরা কাজ করছি, সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকেরা মাঠে আছেন এবং স্থানীয়দের নিরাপদ সরে যেতে আমরা আহবান জানাচ্ছি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সতর্কতায় চট্টগ্রাম কক্সবাজার উপকুলকে ৬নং বিপদ সংকেত ও মংলা এবং পায়রাকে ৭নং বিপদ সংকেতের আওতায় রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

Scroll to Top