পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে বোয়ালখালীর সাত বাসায় ডাকাতি

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: প্রথমে পুলিশ পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলেন ডাকাতরা। পরে জানালা দিয়ে গুলি দেখাতে আমি দরজা খুলেছি। তারা ছিল ৪ জন। ঘরের দরজা খোলার সাথে সাথে ডাকাতরা আমার হাত মুখ বেঁধে ঘরের আলমিরা খুলে তছনছ করে ফেলেছে। বাঁধা দেয়ায় আমাকে থাপ্পর, কিল, ঘুষি দিতে থাকে ডাকাতরা। এভাবেই বর্ণনা দিতে থাকেন বিধান রায়।বোয়ালখালীতে পুলিশ পরিচয় দিয়ে অস্ত্রের মুখে বিধান রায়ের বাড়ি সহ ৭ টি বাসায় ডাকাতি করেছে ডাকাতরা।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার  ৪নং শাকপুরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড শাহ আমানত ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতের দল ৭ টি বাড়ি  থেকে বেশ কয়েকটি মোবাইল, ৪ ভরি স্বর্ণসহ মূল্যবান জিনিস পত্র নিয়ে যায়। এতে ৭ পরিবারের প্রায় ১০-১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে ভাড়াটিয়াদের।ভবনের জমিদার মো. ছাবের বলেন, ডাকাতরা প্রথমে বিধান রায়ের বাসায় গিয়ে তাঁকে পুলিশ পরিচয়ে জিম্মি করে আমাকে বাসা থেকে বের করে আনেন।

পরে আমাকে জিম্মি করে অন্যান্য বাসার মানুষদের ডেকে বের করতে বলেন। ভবনের ভাড়াটিয়া ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দীন জাহেদ বলেন, বাসার জমিদার আমাকে দরজা খুলতে বললে আমি বাসার দরজা খুলে দেখতে পাই জমিদারের সাথে ৪ জন ডাকাত দাঁড়িয়ে আছে। দরজা খোলার সাথে সাথে ৩ জন ডাকাত পুলিশ পরিচয়ে আমার বাসায় ঢুকে আমার স্ত্রীর ৪ ভরি স্বর্ণ ও কয়েকটি স্মার্ট মোবাইল নিয়ে যায়।

বাসার আরেক ভাড়াটিয়া আহমদ আলী বলেন, আমার বাসায় ঢুকে অস্ত্রের মুখে আমাকে বলে আমরা প্রশাসনের লোক। এই বলে আমার বাসায় তল্লাশি করতে থাকে। এসময় আমার স্ত্রীর কানে থাকা কানের দুলসহ কয়েকটি মোবাইল নিয়ে যায়।পরে শাহ্ আমানত ভবনের মালিক ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে ঘটনাস্থলে বোয়ালখালী থানা পুলিশ গিয়ে পরিদর্শন করে আসে বলে জানান ভবনের মালিক।

বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আছহাব উদ্দীন বলেন, ডাকাতির ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।

Scroll to Top