নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরীর পাহাড়তলী এলাকার ত্রাস ক্যাডার মনসুরকে গ্রেফতার করেছে অস্ত্রসহ বরগুনা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নামে হত্যা,চাঁদাবাজিসহ ১৬টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার পরবর্তী আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার অফিসের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ , গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশ বরগুনা থেকে সন্ত্রাসী মনসুরকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে।
মনসুর পাহাড়তলী থানা-পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১২টি মামলা রয়েছে। গত ২৩ আগস্ট দিবাগত রাতের পাহাড়তলী বাজারের একটি ডিমের আড়তের ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে মনসুরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দৃশ্য ধারণ করা আছে। ওই ফুটেজে দেখা যায়, ওই ডিমের আড়তে হঠাৎ অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়েন মনসুর ও তাঁর তিন সহযোগী সন্ত্রাসী। পরে দোকানের ক্যাশ থেকে তাঁরা ৮০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল পাহাড়তলী বাজারে একটি ডিমের আড়ত রানা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক মাসুদ রানাকে খুনের মামলার আসামি এই মনসুর। টাকা লুট করতে বাধা দেওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়। এ ঘটনার পর অস্ত্র-গুলিসহ মনসুরকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। বর্তমানে মাসুদ হত্যা মামলাটি বিচারাধীন। জিজ্ঞাসাবাদে মনসুর জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় সে ভাড়ায় নিয়োজিত হয়ে ছাত্র-জনতার ওপরে হামলা করেছিল।
পুলিশ সূত্র জানা যায়, বিভিন্ন সময় চুরি-ছিনতাই করে অপরাধে জড়ান মনসুর। ধীরে ধীরে এলাকায় ১৫ থেকে ২০ জনের দল গঠন করে শুরু করেন নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। পাহাড়তলীর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা সাবের আহমদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত মনসুর। মনসুর, নগরের পাহাড়তলীর দুলালাবাদ এলাকার আবদুল মালেক দারোয়ানের বাড়ির মৃত জমির আহাম্মদের ছেলে।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি
