চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ৪০ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে স্থানীয়রা।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের সাগর উপকূল থেকে তাদের আটক করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
আটক রোহিঙ্গারা হলেন- নূর কালিমা, আব্দুল্লাহ, জাহিদ হোসেন, রোকেয়া, শফিউল আলম, কাদের, মোহাম্মদ রফিক, রিদোয়ান, ওসমান, আইয়ুব, আনিসুর রহমান, আব্দুল্লা আল মামুন, শারমিন আক্তার, নূর বেগম, সবিতা, সবিতা, শানু, মোহাম্মদ সাদেক, মোমিনা, ফাতেমা, নূর বেগম, সাথিয়া বেগম, রশিদা বেগম ও জহিরসহ আরো ১৬ জন শিশু। আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১১ জন নারী, ১৩ জন পুরুষ ও ১৬ জন শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন গর্ভবতী নারী আছে।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুরে ভাটিয়ারী সাগর উপকূলে শিশুসহ রোহিঙ্গাদের চারটি ইঞ্জিনচালিত বোট থেকে নামতে দেখেন তারা। এ সময় তারা তাদের আটক করলে তারা নোয়াখালীর ভাসান চর থেকে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেতে পালিয়ে এসেছেন বলে জানান। পরে তাদের বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করার পাশাপাশি আটক শিশুসহ ওই রোহিঙ্গা নারী পুরুষকে সাগর উপকূলে বসিয়ে রাখা হয়।
আটক রোহিঙ্গাদের দাবি- সরকার নোয়াখালীর ভাসানচরে তাদের বসতি স্থাপন করে দিলেও সেখানে তারা খাবারের অভাবে খুব কষ্টে দিন যাপন করছেন। তাই তারা বাধ্য হয়ে দালালের মাধ্যমে জনপ্রতি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার চুক্তিতে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসে।
দালালরা রবিবার গভীর রাতে ভাসানচর থেকে চারটি ইঞ্জিনচালিত বোটে করে রওনা দেন। সোমবার দুপুরে তারা ভাটিয়ারী সাগর উপকূলে এসে পৌঁছানোর পর সাগর উপকূলে স্থানীয় এলাকাবাসীদের দেখতে পেয়ে কৌশলে দালাল পালিয়ে যায়। পরে তারা স্থানীয় জনতার হাতে আটক হন। ভালোভাবে দিন যাপনের তাগিদে তারা পরিবার নিয়ে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফিরতে চান বলেও জানান।
রোহিঙ্গা আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর। তিনি জানান, স্থানীয় এলাকাবাসীর রোহিঙ্গা আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আটক রোহিঙ্গাদের পুনরায় নোয়াখালীর ভাসান চরে ফেরত পাঠানো হবে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ