নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম-পানগাঁও নৌপথ এক সময় দেখা হতো কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বিকল্প সমাধান হিসেবে। বর্তমানে সেই রুট প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে জাহাজ চলাচল। তবে আবার এই নৌপথটি চাঙা করতে একের পর এক বৈঠক ও বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সুফল। এবার নদীপথে পণ্য পরিবহনে আগের সেই চিরচেনা গতি ফিরিয়ে আনতে চট্টগ্রাম-পানগাঁও নৌপথে জাহাজের নির্ধারিত ভাড়া প্রত্যাহার করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এক বছরের ব্যবধানে পানগাঁওয়ে কনটেইনার পরিবহন কমেছে ৯০ শতাংশ। যেখানে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৩ হাজার ৩৮ টিইইউস, সেখানে ২০২৪ সালের জুন মাসে হ্যান্ডলিং হয়েছে মাত্র ১৪৯ টিইইউস।
জানা যায়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২২ সালে এই রুটে একটি নির্দিষ্ট ভাড়ার হার নির্ধারণ করেন। আর এতেই তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের দাবি, বেশি ভাড়া ও খরচ বৃদ্ধি এই রুটে অনিয়মিত জাহাজ চলাচলের একটি বড় কারণ। এই টার্মিনালটির পুরোপুরি ব্যবহার নিশ্চিত করতে জাহাজ ভাড়াকে সরকারি হস্তক্ষেপমুক্ত করার দাবিও জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।
তবে নির্ধারিত ভাড়া প্রত্যাহারের ফলে এখন থেকে জাহাজ মালিক ও মেইনলাইন অপারেটরদের দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে জাহাজ ভাড়া নির্ধারিত হবে।
বর্তমানে নির্ধারিত ভাড়া প্রত্যাহার করায় বেশ আনন্দিত ব্যবসায়ী ও অংশীদাররা। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন আমদানি কারক বলেন, এতোদিন জাহাজ ভাড়া ও খরচ বেশি হওয়ায় আমরা এই টার্মিনালটি এড়িয়ে চলতাম। বর্তমানে নির্ধারিত ভাড়া প্রত্যাহার করায় জাহাজ মালিকদের সাথে দর কষাকষির একটি সুযোগ আছে। ফলে এই রুটে জাহাজ চলাচল আবারো বাড়বে।
জানা যায়, মহাসড়ক ও রেলপথে পণ্যবাহী গাড়ির চাপ কমাতে ২০১৩ সালে চবক ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনালটি তৈরি করে। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছিল প্রায় ১৫৪ কোটি টাকা।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, নির্ধারিত ভাড়া প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের ফলে নৌপথে কার্গো পরিবহন বাড়বে বলে আমরা বেশ আশাবাদী।
চাটগাঁ নিউজ/এইচএস/এসএ