পাঁচ হাজার টাকা পেলেই গেরস্তের গরু চলে যায় গডফাদারের ডেরায়

শেয়ার করুন

রাউজান প্রতিনিধি : গরু চুরি করে গডফাদারের হাতে তুলে দিলেই পেতেন পাঁচ হাজার টাকা। আর সেই চুরি করা গরু রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন ও শিলকসহ নানা স্থানের কসাইয়ের কাছে অর্ধেক মূল্যে বিক্রি করতেন গডফাদার।

রবিবার (১০ মার্চ) রাতে গরু চুরির এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন আটক গরু চোর ইব্রাহিম প্রকাশ মাইজ্জে মিয়া (২৮)। তিনি রাউজানের কদলপুর উনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শাহাজাহানের ছেলে।

এর আগে কদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে গ্রাম পুলিশ তাকে আটক করে।

জানা যায়, গত ১৫ দিনে রাউজান ইউনিয়নের ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৮টি গরু চুরি হয়। গরু চুরি রোধে স্থানীয় চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী গ্রাম পুলিশ ও গ্রামবাসীদের সমন্বয়ে এলাকায় পাহারা জোরদার করেন। একইসঙ্গে স্থানীয় গরু চোরদের চিহ্নিত করেন। এর ধারাবাহিকতায় রবিবার সন্ধ্যায় গ্রাম পুলিশের সহায়তায় গরু চোর ইব্রাহিম প্রকাশ মাইজ্যে মিয়াকে ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশের বিল হতে আটক করা হয়।

আটকের পর ইব্রাহিম স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গরু চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তার দেওয়া তথ্যমতে, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সেকান্দরের ছেলে ফারুক (৩০) ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মান্নান মতির ছেলে আলী শাহকে (৪২) তাদের ঘর থেকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয়। পরে গরু চোরদের পুলিশের হাতে তুলে দেন ইউপি চেয়ারম্যান। তবে গরু চুরির ঘটনার অন্যতম গডফাদার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁন মিয়া প্রকাশ চাঁন্দুর ছেলে রুবেল পলাতক রয়েছেন।

এদিকে, ইউনিয়ন পরিষদে গরু চোর আটকের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে ভুক্তভোগীসহ হাজারখানেক উত্তেজিত জনতা পরিষদ ঘিরে রাখেন। এসময় গরু চোরদের গণপিটুনি দিতে চাইলে চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও এসআই সোলাইমান পাটোয়ারী উত্তেজিত জনতাদের শান্ত করেন। পরে থানার ওসি জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতাকে তাড়া করে আটক তিন গরু চোরকে রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে থানায় নিয়ে যান।

এ বিষয়ে পুলিশের এসআই সোলেমান পাটোয়ারী বলেন, আটক তিন গরু চোর গাড়ি চোর চক্রের সদস্য। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top