চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: মাত্র পাঁচ টাকার রিকশা ভাড়া নিয়ে হবিগঞ্জের সাতপাড়িয়া গ্রামের এক যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয় পার্শ্ববর্তী গ্রাম কবিরপুরের আরেক ব্যক্তির। কথা কাটাকাটি রূপ নেয় হাতাহাতিতে। একপর্যায়ে দুইজনের হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রামের হাজারো বাসিন্দা। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও ব্যর্থ হয়। পরে সেনাবাহিনী-পুলিশের যৌথ অভিযানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয়পক্ষের বাড়িঘর দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সাতপাড়িয়া গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে রিকশার পাঁচ টাকা ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় পার্শ্ববর্তী গ্রাম কবিরপুরের এক ব্যক্তির। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে বিষয়টি উভয় গ্রামের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এতে কবিরপুর গ্রামের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় ভেড়াখাল গ্রাম ও সাতপাড়িয়া গ্রামের পক্ষে অবস্থান নেয় বহরুয়া গ্রাম। ভয়াবহ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হন।
এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সংঘর্ষ চলায় সড়কের দুইপাশে আটক পড়ে শত শত যানবাহন। চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সংঘর্ষ চলায় দীর্ঘ হতে থাকে যানবাহনের সারি। পরে বাহুবল থানা পুলিশ ও হাইওয়ে থানা পুলিশের সহায়তায় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বলেন, গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি