পশুর হাটের দরপত্র নিয়ে চসিকে উত্তেজনা, ইজারা নিতে দু’পক্ষের হাতাহাতি 

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) অস্থায়ী পশুর হাটের দরপত্র জমা নিয়ে দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করেছে।  হাটের ইজারা পেতে দুইটি পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি-মারামারির ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৭ মে) বিকেলে চসিকের অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ের নীচতলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ঘটনার সূত্রপাত— চসিক নির্ধারিত সময় অনুযায়ী দরপত্র ফরম জমা দেওয়ার দিনেই। জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগরে ৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চসিক। এর মধ্যে ৫টি হাটের জন্য দরপত্র ফরম বিক্রি করা হয়। ফরম সংগ্রহের শেষ দিন ছিল গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এবং জমাদানের শেষ দিন ছিল আজ শনিবার (১৭ মে)।

এদিন সকাল থেকেই ইজারার জন্য আগ্রহী বিভিন্ন পক্ষের লোকজন চসিক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে, চসিকের প্রধান কার্যালয়ের নীচতলার সম্মেলনকক্ষে দরপত্র বাক্স উন্মুক্ত করা হয় আগ্রহী আবেদনকারীদের উপস্থিতিতে। বাক্স খোলার পরপরই বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি শুরু হয়, যা থেমে থেমে প্রায় অনেক্ষণ চলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ৩টার দিকে বিএনপির সমর্থিত দুটি পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। যদিও জানা যায়নি, কোন কোন হাটের ইজারা নিয়ে এই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে— পূর্ব ষোলশহরের বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার এলাকার কর্ণফুলী পশুর হাট এবং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের সিডিএ বালুর মাঠ এলাকার হাটের ইজারা নিয়েই এ বিরোধ।  সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে এই দুটি সবচেয়ে মূল্যবান বলে জানা গেছে।

এদিন, দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে দরপত্র জমা দেওয়া নিয়েও একবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পক্ষ অভিযোগ করে, তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ সময় চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন নিজেই কার্যালয় থেকে বেরিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। উপস্থিতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখানে সবারই দরপত্র জমা দেওয়ার অধিকার আছে। কেউ বিশৃঙ্খলা করলে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মেয়রের হস্তক্ষেপের পর কিছু ফরম জমা দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন জানান, মূলত দরপত্র বাক্স উন্মুক্ত হওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। কিল-ঘুষির ঘটনাও ঘটে। ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা পুলিশের একটি টিম পাঠাই। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top