চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : নগরের পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে অবহেলা করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম দেখতে রাতে বের হবেন বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর টাইগারপাসের অস্থায়ী চসিক কার্যালয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বারবার সতর্ক করার পরও মশা ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে গাফিলতি লক্ষ্য করছি। এখন থেকে আমি নিজেই রাতে বের হবো, দেখে আসবো কে কাজ করছে, কে করছে না। যারা কাজে অনুপস্থিত থাকবে, তাদের বরখাস্ত করা হবে। কাজ না করলে চাকরি থাকবে না। গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি ছিল আমার নির্বাচনী ইশতেহারের মূল অঙ্গীকার। আমি তা বাস্তবায়নে কোন ছাড় দেব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা তিন মাসের বেশি সময় ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, তাদের তালিকা তৈরি করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। পাশাপাশি, যেসব সুপারভাইজার, জোন প্রধান ও সুপারিন্টেনডেন্ট যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না, তাদের বদলি করা হবে।’
নগরবাসীর প্রতি সচেতনতার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে শুধু সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের দায়িত্ব নয়, নাগরিকদেরও সচেতন ভূমিকা রাখতে হবে। যত্রতত্র ময়লা না ফেলে নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে এবং পরিবেশ বিধ্বংসী পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আমরা কঠোর অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছি। নগরীজুড়ে চসিকের স্পেশাল ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেটরা অভিযান চালাবেন।’
সভায় মেয়র শাহাদাত জানান, ডেঙ্গু ও কিউলেক্স মশার বিস্তার রোধে প্রতিদিন দুইবার করে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। ১০০টি ফগার মেশিন ও ১২০টি স্প্রে মেশিন ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের সহায়তায় আরও আধুনিক ফগার মেশিন যুক্ত হচ্ছে। এছাড়া, খাল ও নালা পরিষ্কারের জন্য দুটি ব্যাকহোল্ডার কেনা হয়েছে, যার ব্যয় পাঁচ কোটি টাকা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪০ হাজার বিন (ডাস্টবিন) বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ
