পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক চাপের মুখে ছিলেন এবং দেশের রাজনীতিতে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। বিরোধীরা তো বটেই, তার নিজ দলের মধ্য থেকেও তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে।

এমন পরিস্থিতিতে শোনা যাচ্ছে, তিনি সোমবার (৬ জানুয়ারি) পদত্যাগের ঘোষণা দিতে চলেছেন।

কানাডার প্রধান সংবাদমাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইল এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশকিছু সূত্রের বরাতে ট্রুডো সোমবারের মধ্যে তার পদত্যাগের কথা ঘোষণা করতে পারেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, তারা পুরোপুরি নিশ্চিত না হলেও আশা করা হচ্ছে যে, ট্রুডো এই সপ্তাহের বুধবারের আগে তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন, যখন প্রধান একটি জাতীয় ককাস বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী অফিস এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য কোনো উত্তর দেয়নি, তবে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ট্রুডো এখনই তার পদত্যাগ করবেন নাকি নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ট্রুডো ২০১৩ সালে কানাডার লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তখন কানাডার লিবারেল দল ছিল গভীর সংকটে এবং প্রথমবারের মতো হাউস অব কমন্সে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল। তার নেতৃত্বে দলটি পুনরুজ্জীবিত হলেও, বর্তমান সময়ে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে এবং দলের মধ্যে তার প্রতি সমর্থনও কমেছে।

তবে ট্রুডোর সম্ভাব্য পদত্যাগের পর লিবারেল পার্টি রাজনৈতিক মঞ্চে স্থায়ী নেতৃত্ববিহীন অবস্থায় চলে যেতে পারে, বিশেষত যখন নির্বাচনের আগে জরিপগুলোও বলছে যে, আগামী অক্টোবরের নির্বাচনে লিবারেলরা রক্ষণশীলদের কাছে ব্যাপকভাবে পরাজিত হতে পারে। এর ফলে নতুন নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যাতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে ইচ্ছুক কিনা। এক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এভাবে, ট্রুডোর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত কানাডার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চলেছে, যা লিবারেল পার্টির ভবিষ্যতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top