নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পটিয়ার শোভনদণ্ডীতে নাছিমা আক্তার (৪৮) নামে এক মহিলা ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
রবিবার (৩১ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদে ঘটনাটি ঘটে। তিনি শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য ও স্থানীয় মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত নাছিমা আকতার বলেন, রবিবার (৩১ মার্চ) ভিজিডি চাউল বরাদ্দের তালিকা প্রণয়ন সংক্রান্ত মিটিংয়ের এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান থেকে আমার বরাদ্দের নলকূপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এ সময় ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের ভাইপো মো. সায়েম আমাকে চুল ধরে টেনে হিঁছড়ে মাটিতে ফেলে মারধর করে। এক পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান নিজেও আমাকে মারধর করে। এসময় আমার দাঁত পরে গিয়ে মুখ দিয়ে প্রচুর রক্ত বের হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান এহছানুল হক বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ভিজিডি চাউল বরাদ্দের তালিকা প্রণয়ন করতে ইউপি সদস্যদের নিয়ে মিটিং করা হয়। এসময় আমি স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে তালিকা প্রণয়ন করতে বলি। এবং নৌকার লোক ছাড়া কাউকে তালিকায় অন্তর্র্ভুক্ত করতে নিষেধ করি। এটি শুনে নাছিমা মেম্বার রাগান্বিত হয়ে মিটিং থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বাইরে সায়েম মেম্বারের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সায়েম মেম্বারের আঙ্গুলে কামড় দিয়ে নাছিমা আক্তার তাকে রক্তাক্ত করে। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সায়েম মেম্বার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দিন চাটগাঁ নিউজকে জানান, শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদে মহিলা মেম্বারকে মারধরের বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন