পটিয়ায় চাকরিচ্যুতদের অবরোধে ব্যাংকের ১৬ শাখার লেনদেন বন্ধ

পটিয়া প্রতিনিধি: ছয় ব্যাংক থেকে প্রায় ৭ হাজারের অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরদের হঠাৎ বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতি করার প্রতিবাদ ও পূর্ণবহালের দাবিতে পটিয়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে পটিয়ায় বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় ১৬ টি শাখা তালা মেরে বন্ধ করে দেয় চাকরিচ্যুতরা।

রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল ৭ টা থেকে চাকরিচ্যুতরা বিভিন্ন জাগায় থেকে পটিয়া মাঠে এসে জড়ো হয়। পরে ২০ জন জন করে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় গিয়ে ব্যাংকের প্রধান ফটকে তালা মেরে দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

চাকরিচ্যুতরা অভিযোগ করেন, গত বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাদের অধিকাংশই পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা। দ্রুত পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে তারা কঠোর কর্মসূচি দেবেন।

পৌর যুবদল নেতা হাবিবুর রহমান রিপনের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে চাকরিচ্যুত ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন- গনঅধিকার পরিষদের দক্ষিণ জেলা সভাপতি ডা. এমদাদুল হাসান, ইসলামী ফ্রন্ট দক্ষিণ জেলার সেক্রেটারি আলি হোসেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা এয়ার মোহাম্মদ পেয়ারু, সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম, বোরহান উদ্দিন প্রমূখ।

ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত ভুক্তভোগীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আবু বকর ফাহিম ও জয়নাল আবেদীন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মঞ্জুর হিরু, শিবলু ও কানুন, ইসলামী ব্যাংকের মো. ইরফান ও খোরশেদ আলম, ইউনিয়ন ব্যাংকের মোহাম্মদ সাঈদুল হক, মো. আসিফুর রহমান, শহিদুল ইসলাম ও লাদেন, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের রবিউল ও তুষার, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের টিপু সুলতান ও মেহেদী হাসান এবং সোনিয়া আক্তার।

জনতা ব্যাংকের পটিয়া শাখার ম্যানেজার নাজিম উদ্দিন জানান, শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ ছিল। তাই রোববার গ্রাহকরা ব্যাংকে আসছেন। আন্দোলনের কারণে তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুজ্জামান জানান, আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

চাটগাঁ নিউজ/পিবলু/এমকেএন

Scroll to Top