নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হেফাজতে নেয়া হয়েছে। শনিবার (১০ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে উপজেলার ওছখালী এলাকার নিজ বাসভবন থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ গণমাধ্যমের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারের নানা অনিয়মের কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও মোহাম্মদ আলীর কাছে হাতিয়ার প্রায় সাত লাখ মানুষ জিম্মি রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এ সময় নদী পারাপার, খাস জমি, নদীতে মাছ ধরার নৌকায় চাঁদাবাজি, সরকারি সি-ট্রাক বন্ধ রেখে মোহাম্মদ আলীর নিজস্ব ট্রলার ও স্প্রিটবোর্টসহ নৌযানে যাত্রী পারাপারসহ নানা অনিয়মের কথা উঠে আছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিরোধী পক্ষ ও নিজ দলের লোকজনদের হত্যা, মামলা দিয়ে হয়রানি, এলাকাছাড়া করাসহ আরও বহু অভিযোগ তুলেন হান্নান।
সূত্র জানায়, সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নির্যাতিত নেতাকর্মীরা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে হাতিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করে এবং ওছখালি এলাকায় তার নিজ বাস ভবনের সামনে গিয়েও বিক্ষোভ করে এবং মোহাম্মদ আলীসহ তার পরিবারের লোকজনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। ওই সময় মোহাম্মদ আলী তার নিজ বাস ভবনেই ছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একাধিক নেতা জানান, মোহাম্মদ আলী ৫ আগস্ট থেকে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নিজ বাসভবনে বসে থাকে। তখনও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বিক্ষোভকারীদের হুমকি ধমকি দিয়েছেন। এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষের তোপের মুখে শনিবার রাতে মোহাম্মদ আলীকে নৌবাহিনীর কয়েকটি গাড়ি এসে নিয়ে যায়।