নিয়ম লঙ্ঘন করে প্রভাষক বসলেন অধ্যক্ষের চেয়ারে!
ছিপাতলী ঈদগাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ

মো. শোয়াইব: চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদগাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিলেন এমন একজন, যিনি সেই প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত প্রভাষক মাত্র!

অধ্যক্ষ হওয়ার সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কেবল সাবেক অধ্যক্ষ ও এডহক কমিটির সভাপতির খামখেয়ালীপনায় এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। যা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এতে প্রশ্ন উঠেছে—শিক্ষা অফিস অবহিত না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই নিয়োগ সম্পন্ন হলো? এ নিয়ে এলাকায় ও শিক্ষক মহলে তৈরি হয়েছে চরম ধোঁয়াশা। অনিয়ম ও প্রশ্নবিদ্ধ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠানজুড়ে চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা।

শিক্ষকদের দাবি— স্বচ্ছতা ও বিধিমালা অনুসারে পুরো বিষয়টি পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শিক্ষক জানান, সাবেক অধ্যক্ষ ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে একক সিদ্ধান্তে এই নিয়োগ সম্পন্ন করেছেন। এতে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তবে নিয়োগপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল কাইয়ূম বলেন, স্কুল কমিটি ও সাবেক অধ্যক্ষ আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কীভাবে দিয়েছেন তা আমি জানি না। তবে আমাকে বাদ দিলেও কোনো আপত্তি নেই।

সাবেক অধ্যক্ষ মতিউর রহমান চাটগাঁ নিউজকে এই নিয়োগ সঠিক প্রক্রিয়ায় হয়নি বলে স্বীকার করেন।

তিনি আরো বলেন, কমিটি চাইলে যেকোনো সময় অধ্যক্ষ পরিবর্তন করতে পারবে। আমিও ফোন করে কমিটিকে জানিয়েছি অধ্যক্ষ থেকে ওনাকে বাদ  দিতে। কিন্তু তারা কেউ আমার কথা শুনে নাই।

বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ডা. রফিকুল ইসলামের কাছে এই বিষয়ে  জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে রাগান্বিত হয়ে বলেন, এখানে নিউজ করার কি আছে? আমি কেন আপনাকে এই বিষয়ে বক্তব্য দিব! এখানে তো আমি অন্যায় কোন কিছু করিনি। আমি সবার সাথে মতামত নিয়ে উনাকে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি আরো রাগান্বিত স্বরে বলেন আমিও একজন সাংবাদিক। এখানে আমার বক্তব্য দেবার কোন কিছু নেই।

হাটহাজারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ড. সেলিম রেজা বলেন, শিক্ষা অফিসকে অবহিত না করে নিয়োগ প্রদান মানেই অবৈধ নিয়োগ। এখানে কোনো নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top