চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: প্রায় শতাধিক আলেম ও হুজুরকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বোখারী শরীফ পড়িয়ে পারিশ্রমিক না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তির নাম তৌহিদুল কাদের, যার বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নের বুইজ্জার দোকান নামক এলাকায়। পিতা প্রয়াত ফজল কাদেরের নামে একটি ওয়ালফেয়ার ফাউন্ডেশনও চালান। লোক দেখানোর জন্য তিনি তার বাড়িতে নিয়মিত নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন।
জানা গেছে, তিনি তার প্রয়াত পিতা ফজল কাদেরকে আলহাজ্ব শাহসুফী মাওলানা সৈয়দ শফিউল বশর আল হাসানী আল মাইজভান্ডারী (ক:)’র একনিষ্ঠ মুরিদ বলে দাবী করেন। তার নিজ বাড়িতে স্থাপন করেছেন বাগে সুলতান-দায়রায়ে রহমানিয়া নামে একটি দরবার। প্রতারক তৌহিদুল কাদের নিজেকে বাংলাদেশ দরগাহ-মাজার জাতীয় সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান বলেও দাবী করেন। এমনকি নিজের নামের শেষেও টাইটেল লাগিয়েছেন মাইজভান্ডারী।
বিগত রমজানে তৌহিদুল কাদেরের ঐ কথিত দরবারে তার বাবা ফজল কাদেরের ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। যেখানে তিনি সবাইকে বলে বেড়িয়েছেন এই ইফতার মাহফিলে উপস্থিত থাকবেন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু আদতে প্রধান বিচারপতি তো দুরের কথা বড় কোন ব্যক্তি তার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। এদিকে, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মাহফিলে উপস্থিত থাকবেন বলে সেখানে তিনি নিয়ে যান চট্টগ্রামের শতাধিক আলেমকে। যারা বাবা ফজল কাদেরের ফাতেহা উপলক্ষে বোখারী শরীফ পাঠ করেন। কিন্তু ঐ সব আলেম ও হুজুরদের কোন পারিশ্রমিক দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে তহিদুল কাদেরের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আলেম বলেন, রোজা রেখে সকাল ১১ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত বসিয়ে রেখে ৫ হাজার টাকা করে প্রতিজনকে দেয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৭০০-৮০০ টাকা করে দিয়ে হুজুরদের বিদায় করেছেন ঐ প্রতারক। তিনি আমাদের বলেছিলেন, সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু বাস্তবে আমরা গিয়ে দেখতে পাই তিনিই (তৌহিদুল কাদের) প্রধান অতিথি তিনিই সভাপতি।
শুধু তাই নয়, সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে নিজের ক্ষমতা জাহির করেন এই তৌহিদুল কাদের। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করলে নানান তথ্য হাতে আসে সিপ্লাসটিভির কাছে। যা শুনলে যে কারো মাথা ঘুরে উঠতে পারে। তা নিয়ে বিস্তারিত থাকবে, পরবর্তী পর্বে।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন