ক্রীড়া ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরুতেই বড় রানের তিনটি ম্যাচ ক্রিকেটভক্তদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়েছিল। তবে চতুর্থ ম্যাচে তুলনামূলক ভিন্ন চিত্রেরই দেখা মিলেছে। আগে ব্যাট করতে নেমে কোনোমতে ১৫৫ রান তোলে রংপুর রাইডার্স। সেই রানকেও যথেষ্ট প্রমাণ করেছেন তাদের বোলাররা। বিশেষত নাহিদ রানার গতির তোপে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ইনিংস ১২১ রানেই থেমে যায়। ফলে ৩৪ রানে জিতেছে রংপুর।
এ নিয়ে আসরে নিজেদের দুটি ম্যাচই জিতেছে নুরুল হাসান সোহানের দলটি। এর আগে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রংপুর। শুরুতে দ্রুত উইকেট হারালেও তারা অধিনায়ক সোহানের ৪১ এবং ইফতিখার আহমেদের ৪৭ রানে ভর করে লড়াকু পুঁজি গড়ে।
ম্যাচের শুরুতে তাদের চেপে ধরেন সিলেটের দুই পেসার তানজিম হাসান সাকিব ও আল-আমিন হোসেন। ফলে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে মাত্র ৩৩ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। দলের বিপদে হাল ধরতে ধীরগতির ইনিংস খেলেছেন ইফতিখার আহমেদ। ৪২ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৭ রান আসে এই পাকিস্তানি ব্যাটারের কাছ থেকে। তবে অধিনায়ক সোহান ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিলেন। ২৪ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় তিনি করেন ৪১ রান।
শেষদিকে ৮ বলে ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন শেখ মেহেদী। এ ছাড়া খুশদিল শাহ ১৬ বলে ২১ রান করেন। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৫ রান। সিলেটের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন তানজিম সাকিব ও আল-আমিন।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় সিলেটও ভালো শুরু পায়নি। দলীয় ৪ রানেই তারা হারায় ওপেনার জর্জ মুনসীর উইকেট। এরপর জাকির হাসান ঝড়ের আভাস দিয়ে ফিরে যান ১২ বলে ১৮ রান করে। রনি তালুকদার একপ্রান্ত আগলে রাখলেও, আসা-যাওয়ার মিছিল করেছেন পল স্টার্লিং (৬) ও আরিফুল হকরা (০)। মাঝে জাকের আলি অনিক ধীরগতির ইনিংস খেলে আরও চাপ বাড়িয়ে তোলেন। তবে ৬ হাঁকিয়ে হাত খোলার আভাস দিয়েই আউট হয়ে যান পরের বলে। ৩৩ বলে তার ব্যাটে এসেছে ২২ রান। রনি ৩৬ বলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন।
এ ছাড়া সিলেটের পক্ষে বলার মতো রান করতে পারেননি আর কেউই। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে আরিফুল হকের নেতৃত্বাধীন দলটি ৯ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান তুলতে সক্ষম হয়। অন্যদিকে, রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন নাহিদ রানা। এ ছাড়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও খুশদিল ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ