নাব্যতা সংকটে সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া ফেরিঘাট, চলাচলে হুমকির মুখে ফেরি

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গুপ্তছড়া ফেরিঘাটে চরম নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি ও জাহাজ চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পূর্বে খনন করা চ্যানেলে পলি জমে ফেরির রুট কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এতে গুপ্তছড়া-বাসবাড়িয়া রুটে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকার সময় এক সপ্তাহ ফেরি ও জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। গতকাল ভোরে ফেরি কপোতাক্ষ চলাচলের ঘোষণা দিলে ফেরিঘাটে আগেই শত শত গাড়ি ও যাত্রী অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন দেখা দিলে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফেরি ‘কপোতাক্ষ’ এবং জাহাজ ‘এমভি মালঞ্চ’ ঘাটের কাদায় আটকে আছে। ঘাটের পল্টুনটিও কাদায় বসে যাওয়ায় যানবাহন ওঠানামায় চরম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ভাটার সময় পানির স্তর অতিমাত্রায় নিচে নেমে যাওয়ায় ফেরি ভেড়ানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

ফেরির মাস্টার শামছুল আলম সাইফুল বলেন, চ্যানেলে ড্রেজিং না করায় অধিকাংশ জায়গায় পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। দ্রুত ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা না নিলে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এই ফেরি সন্দ্বীপবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বন্ধ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ভার্চুয়ালি গুপ্তছড়া-বাসবাড়িয়া ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের আগে খাল খনন ও ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ফেরি চলাচলের উপযোগী করে তোলা হলেও মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে পুনরায় কাদা জমে ফেরি চলাচলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, ভাটার সময় কাদা জমে ফেরি-জাহাজ আটকে যাচ্ছে। ফলে ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। নিয়মিত ড্রেজিং না হলে এই রুট কার্যকর রাখা সম্ভব নয়।

সচেতন মহল, যাত্রী ও পরিবহন চালকরা এই পরিস্থিতিতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মতে, ফেরি চালু থাকার মাধ্যমে সন্দ্বীপের অর্থনীতি, শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা সচল রাখা সম্ভব। তবে বর্তমান নাব্যতা সংকটের কারণে তা হুমকির মুখে পড়েছে।

চাটগাঁ নিউজ/ফয়সাল/এমকেএন

Scroll to Top