নববধূর সাজে চবি, রাত পোহালেই ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সমাবর্তন

জাহিদ সবুজ : রাত পোহালেই সমাবর্তন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এই সমাবর্তনের সাক্ষী হতে যাচ্ছেন প্রায় ২৩ হাজার সমাবর্তী। যারা সবুজ এই ক্যম্পাসের আঙ্গিনায় কাটিয়ে গেছেন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, শাণিত করেছেন নিজেদের মেধা। দেশকে এগিয়ে নিতে যাদের মেধা ও শ্রম অফুরন্ত, তাদের সম্মানেই যেন নববধূর সাজে সজ্জিত হয়েছে ২১০০ একরের চবি ক্যাম্পাস।

তাইতো সমাবর্তনের সপ্তাহখানেক ধরেই  উৎসবমুখর প্রাণচঞ্চল এই শিক্ষাঙ্গন। দীর্ঘ ৯ বছর পর বহুল প্রতীক্ষিত পঞ্চম সমাবর্তনকে ঘিরে ক্যাম্পাস যেন সাজানো হয়েছে নব রূপে ও বর্ণিল সাজে। সাবেকদের বরণ করে নিতে বর্তমান শিক্ষার্থীদের উত্তেজনা, ক্যাম্পাসজুড়ে রঙিন আলোকসজ্জা ও প্রস্তুতি বলে দিচ্ছে— দীর্ঘ প্রতীক্ষার এ দিনটি কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং একটি আবেগময় মুহূর্ত হতে যাচ্ছে।

আগামীকাল বুধবার (১৪ মে) সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনুস।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে শুরু করে সকল অনুষদ ভবন, শহীদ মিনার, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসহ গুরুত্বপূর্ণ সকল স্থাপনাগুলোতে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। জায়গায় জায়গায় লাগানো হয়েছে ফুলের টব, ফেস্টুন। ক্যাম্পাসের চার স্থানে লাগানো হয়েছে বিশাল ডিজিটাল পর্দা, যেখানে দেখা যাবে সমাবর্তনের মূল আনুষ্ঠানিকতা। এরইমধ্যে শিক্ষার্থীদের ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে তাদের উচ্ছ্বাস আর গর্ব।

আরো দেখা গেছে- ভবনগুলোতে রাঙানো হয়েছে নানা রঙে, ক্যাম্পাসের রাস্তাগুলো পুনর্নিমাণ ও ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করা হয়েছে। এসব কর্মযজ্ঞে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

জানতে চাইলে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. শহীদুল হক বলেন, আমাদের সকল পরিশ্রম সার্থক হবে যখন গ্রাজুয়েটগণ সবাই ক্যাম্পাস আলোকিত করবেন। তাদের জন্য আমাদের এত কষ্ট এত পরিশ্রম। তারা আসবেন আমাদের অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন এটাই কামনা করছি।

জুলাই শহীদদের স্মৃতি করছে জ্বলজ্বল 

এদিকে, সমাবর্তন ঘিরে গত জুলাই-আগস্টে তাজা রক্ত দিয়ে নতুন দেশ গঠন করা চবির শহীদদের স্মৃতি জ্বলজ্বল করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালজুড়ে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই সমাবর্তনে সম্মান জানানো হবে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ফরহাদ, তরুয়া, ওয়াসিম ও আবু সাঈদের অম্লান স্মৃতিকে।

চবির পঞ্চম সমাবর্তন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটোয়ারী জানান, ‘সমাবর্তনে জুলাই শহীদদের নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সমাবর্তনের প্রধান বক্তা, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তুলে দেওয়া হবে একটি বিশেষ সংকলন, যাতে থাকবে ক্যাম্পাসজুড়ে আঁকা গ্রাফিতিগুলোর প্রতিচ্ছবি।’

এছাড়া পুরো সমাবর্তনস্থলে থাকবে শহীদদের ছবি নিয়ে তৈরি একাধিক ফেস্টুন। এই আয়োজন যেন কেবল স্মরণ নয়— এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে প্রতিরোধ ও প্রতিবাদের উত্তরাধিকার হস্তান্তরের এক অনন্য প্রতীক। চবির এবারের সমাবর্তন কেবল স্নাতকদের গাউন-টুপি পরানোর আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি হয়ে উঠছে ইতিহাস, প্রতিবাদ ও স্মৃতির এক মহামঞ্চ।

২৩ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য খরচ ১৪ কোটি টাকা

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশাল এই আয়োজনে খরচ হবে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের ফি থেকে আয় হয়েছে সাড়ে ৬ কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি ও স্পন্সরদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে।

চবি কর্তৃপক্ষ  জানায়, সমাবর্তন সফল করতে ১৯টি উপ–কমিটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ তাদের সাবেকদের যাবতীয় বিষয় দেখভাল করছেন। এরই মধ্যে সমাবর্তনের অনুষ্ঠানস্থল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে এবং তৈরি করা হয়েছে তিনটি বিশাল প্যান্ডেল। যেখানে একসাথে বসতে পারবেন ৩০ হাজার শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয় তার মূল লক্ষ্যে কাজ করছে না। সমাবর্তন হওয়াটাতো অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের অংশ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর সমাবর্তন হয়েছে মাত্র চারটি। যা খুবই হতাশাজনক।’

তিনি আরও বলেন, এখানে আমরা শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে এসেছি, তাদের অধিকার তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। সেজন্য আমরা বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নিচ্ছি। তারই অংশ এই সমাবর্তন। আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন। আমরা সুন্দর একটি সমাবর্তন আয়োজন করেছি। যা দেশের ইতিহাসে এতবড় সমাবর্তন আগে হয়নি আমার জানামতে।

সমাবর্তনের দুদিন আগেই চবিতে শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা

সোমবার (১২ মে) সকাল থেকে নিজ নিজ বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীরা গাউন ও টুপি সংগ্রহ করা শুরু করেছেন। কালো গাউন আর টুপিতে মোড়া শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো  আঙিনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ এই মুহূর্তের স্মৃতি ধরে রাখতে বিভিন্ন পয়েন্টে চলছিল ছবি তোলার হিড়িক। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অনেকেই তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন ক্যাম্পাসে। অনেকেই এসেছেন তাদের ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে। মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দি করছেন প্রিয়জনদের সাথে।

এই বিশাল সংখ্যক কনভোকিদের সঠিক সময়ে গাউন ও টুপি সরবরাহের জন্য দুইদিন আগে থেকেই বিতরণ করা শুরু হয়েছে। যার ফলে দুইদিন আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেখা যাচ্ছে কনভোকিদের আনাগোনা। ক্যাম্পাস পরিণত হয়েছে গ্র‍্যাজুয়েটদের মিলনমেলা। যেন এখন থেকেই ক্যাম্পাসে লেগেছে সমাবর্তনের ধুম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম চাটগাঁ নিাউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক হয়েছি ১০ বছর আগে। আজ মঙ্গলবার এসেছি গাউন-টুপি সংগ্রহ করতে। এসে অনেক পরিচিতদের সাথেই দেখা হচ্ছে। এত বছর পর সবার সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগছে।

আরেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী রনি দত্ত বলেন, ‘অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমার বিভাগ থেকে আমিই প্রথম গাউন আর টুপি সংগ্রহ করেছি। সাথে প্রথম হিসেবে মিষ্টিমুখও করেছি সভাপতির পক্ষ থেকে। বুধবার আবারও আসবো মূল অনুষ্ঠানে’।

যেসব ডিগ্রিধারীরা পাচ্ছেন সমাবর্তন

২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পিএইচডি, এমফিল, এমডি, এমএস, এমফিল (চিকিৎসা বিজ্ঞান); ২০১১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এমএ, এমএসসি, এমএস, এমএসএস, এমবিএ, ইএমবিএ, এলএলএম, এমএস (ফরেস্ট্রি), এমএস ইঞ্জিনিয়ারিং (সব), এমএড, এমএড (স্পোর্টস সায়েন্স); ২০১৩ থেকে ২০২৩ এমএ (ইএলটি); ২০১১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বিএ, বিএফএ, বিএসসি, বিএসএস, বিবিএ, এলএলবি, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সকল), বিএড, বিএড (স্পোর্টস সায়েন্স)।

এছাড়া ২০১৪ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এমবিবিএস, বিডিএস, বিপিএড; ২০১৪ সালের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (চিকিৎসা বিজ্ঞান): ডিএলও; ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (চিকিৎসা বিজ্ঞান): ডিসিও, ডিসিএইচ; ২০১৪ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বিএসসি ইন নার্সিং (সাধারণ/পোস্ট বেসিক/পাবলিক হেলথ নার্সিং), মেডিকেল টেকনোলজি, ফ্যাশন টেকনোলজি এবং ২০১১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত অধিভুক্ত সকল কলেজের সকল ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

ব্যক্তিগত গাড়ি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না

গ্র্যাজুয়েটদের ব্যক্তিগত কোনো গাড়ি ১ নম্বর মূল গেট (হাটহাজারী রোড) থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়ার জন্য ১ নম্বর গেট থেকে বাসের ব্যবস্থা থাকবে। গ্র্যাজুয়েটদের যাতায়াতের সুবিধার্থে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট যথা- ষোলশহর শপিং কমপ্লেক্স, নিউ মার্কেট, জমিয়াতুল ফালাহ, পলিটেকনিক মোড় (ফ্লাইওভার থেকে নেমে) থেকে বাসের ব্যবস্থা থাকবে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বাসগুলো শহর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করবে এবং ক্যাম্পাস থেকে ফিরতি বাসগুলো বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলবে।

খাবার আয়োজন

অতিথি এবং সমাবর্তীদের উপযুক্ত খাবার পরিবেশন করা হবে। চট্টগ্রামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরাসরি ফ্রুটস ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সমাবর্তীদের সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে বিভাগ/ইনস্টিটিউটগুলো থেকে খাবার সংগ্রহ করতে হবে।

সমাবর্তীদের জন্য উপহার

সমাবর্তীদের জন্য গিফট প্রদান করা হবে। গিফটের মধ্যে থাকবে ব্যান, স্মরণিকা, কলম, পিন, ওয়ালেট ইত্যাদি। কনভোকেশন টুপি নিরুট হিসেবে বিবেচিত হবে। শিক্ষার্থীরা যেন অনুষ্ঠান দেখতে পারেন সেজন্য লাইভে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ক্যাম্পাসে চারটি পয়েন্টে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যারা

শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম ও ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. এম. এ. ফায়েজ।

যাতায়াতে শহর থেকে ১০০ বাস

পুলিশ প্রশাসন এবং প্রক্টরিয়াল বডির স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে যাতায়াত অসুবিধা মিনিমাইজ করার চেষ্টা চলছে। ১০০টি বড় বাস শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সকাল ৬টা থেকে যাতায়াত শুরু করবে। নির্ধারিত শাটল ট্রেনে করেও সমাবর্তীরা যেতে পারবেন। ১ নম্বর মূল গেট থেকে ক্যাম্পাসে সাধারণ কোনো যানবাহন, ট্যাক্সি বা কার প্রবেশ করতে পারবে না। ১ নম্বর গেট থেকে শাটল বাসের ব্যবস্থা থাকবে, যেন সমাবর্তীরা ক্যাম্পাসে যেতে পারেন। ক্যাম্পাসেও শাটল বাসের ব্যবস্থা থাকবে।

শাটল ট্রেনের সময়সূচি

বটতলী স্টেশন থেকে ৭টা ৫ মিনিট ও ৭টা ৪০ মিনিট, ষোলশহর স্টেশন থেকে সাড়ে ৯টা, ১০টা ৫ মিনিট, সাড়ে ১১টা এবং ফিরতি ট্রেন ক্যাম্পাস থেকে ৪টা ৪০ মিনিট, ৬টা ২০মিনিট এবং ৯টা ৪৫ মিনিট। সমাবর্তন দিনের বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের সময়সূচি ও পরিবহনবিষয়ক বিস্তারিত দিকনির্দেশনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশের অন্যতম উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি অনুষদের অধীনে বর্তমানে ৪৮টি বিভাগ, ছয়টি ইনস্টিটিউট এবং পাঁচটি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ হাজার ৫১৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। শিক্ষক সংখ্যা ৯৯৬, কর্মকর্তা ৪৪৫, কর্মচারী (তৃতীয় শ্রেণি) ৫৪৫ জন এবং কর্মচারী (চতুর্থ শ্রেণি) ৯৮৩ জন। শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য ১৪টি হল রয়েছে। ছাত্রদের জন্য নয়টি, ছাত্রীদের জন্য পাঁচটি এবং হোস্টেল রয়েছে একটি। স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ডিগ্রি ছাড়াও এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল, পিএইচডি, এম.ডি, এম.এস (মেডিকেল সায়েন্স) উচ্চতর ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top