চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নতুন কেউ দায়িত্বে এলেই কর্মকর্তা-কর্মচারী, সমিতি-ফোরামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে দফায় দফায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে যান। এ নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলে। এ ধারা চলতে থাকে দুই তিন মাস পর্যন্ত। এর ফলে কাজে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।
তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সরকারের নতুন শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মনিরুল ইসলাম মিলনের সই করা অফিস আদেশে মতবিনিময় সভায় ফুলেল শুভেচ্ছা না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, ১৪ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার পর এরই মধ্যে শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। এজন্য শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় নতুন করে শুভেচ্ছা না জানানোর জন্য মন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এক লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (লাঙল) সানজীদ রশীদ চৌধুরী পেয়েছেন এক হাজার ৯৮২ ভোট।
মহিবুল হাসান চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তিনবারের মেয়র প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী সন্তান। তিনি ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সর্বকনিষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নওফেল। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
চাটগাঁ নিউজ/এমআর