নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৩নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ডস্থ বামন শাহী খাল সংলগ্ন হাজী পাড়া সড়ক ও সৈয়দ বাড়ি সড়ক নির্মাণ করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, তুলনামূলক কম উচ্চতার হওয়ায় এই সড়ক দুটি ফের জলে ডুবছে। জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে মুক্তির জন্য সড়ক দুটি নির্মিত হলেও সমস্যা রয়েই গেছে।
এমতাবস্থায় সড়ক দুটি উঁচুকরণে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন আবার উদ্যোগী হয়েছেন। তার উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা সেনাবাহিনীর ৩৪ কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সমন্বিত উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) জলাবদ্ধ হাজী পাড়া ও সৈয়দ বাড়ি সড়ক দুটি পরিদর্শনে গেলে তিনি এ উদ্যোগের কথা ব্যক্ত করেন। এবং সমস্যার আশু সমাধানের আশ্বাস দেন।
এসময় মেয়র বলেন— সড়ক দুটি খুব ভাল ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় উচ্চতা না রাখায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এলাকাবাসী আমার কাছে সড়ক দুটি উঁচুকরণের দাবি করেছেন। সিডিএ ও সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করা হবে। সড়ক দুটি উঁচুকরণে সেনাবাহিনী ও সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল টিম আগামীকাল এখানে আসবে। তারা বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে করণীয় নির্ধারণ করবেন।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে সমন্বয় করে আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছি। এবছর নগরীর অনেক এলাকায় পানি উঠেনি। এটি প্রকল্প বাস্তবায়নের সুফল। আশা করছি, আগামী বছর নগরের কোথাও জলাবদ্ধতা হবে না। তবে এ ব্যাপারে নগরবাসীরও গুরুদায়িত্ব রয়েছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন— হাজী পাড়া ও সৈয়দ বাড়ি সড়ক পরিদর্শনে এসে আমি দেখেছি, নালাগুলো একেবারে ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। নগরবাসীরা নালাগুলোকেই ডাস্টবিন মনে করেন। নালাতেই সব ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। নালার মধ্যে আমি আস্ত কাঁঠাল পর্যন্ত দেখতে পেয়েছি। নালা তো পানি প্রবাহের মাধ্যম। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে নালাগুলোকে জ্যাম করে রাখার ফলে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নগরবাসীকে এ ব্যাপারে সচেতন হতেই হবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা এম এ হাসনাত ও ফাহিম বলেন, নিচু এলাকা হওয়ায় বর্ষার সময় সড়ক দুটি মাসের পর মাস জলাবদ্ধ থাকে। ভেবেছিলাম দীর্ঘসময় পর এবার হয়ত আর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না। কিন্তু আমাদের সমস্যা রয়েই গেল। এবারও বৃষ্টিতে সড়কে পানি উঠে যাচ্ছে। এ ভোগান্তি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমরা মেয়র মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছি। তিনি আমাদের আকুতি শুনেছেন। মেয়র মহোদয় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সিডিএ সূত্রে জানা গেছে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম শহররে জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্ণফুলী নদীর সাথে সংযোগযুক্ত ১৬টি খাল এবং এসব খালে সংযুক্ত আরো ২০টি খালসহ মোট ৩৬টি খালের পরিকল্পিত পুনঃখনন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কাজ চলমান।
প্রকল্পের আওতায় খালগুলোর প্রশস্থতা রক্ষা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাল সমূহের পাড় ঘেষে ৮৫ দশমিক ৬৮ কি.মি. সড়ক নির্মাণ কাজও চলছে। যা খাল পরিস্কারের কাজে ভূমিকা রাখা ছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাঁচলাইশ ওয়ার্ডস্থ বামন শাহী খাল সংলগ্ন হাজীপাড়া ও সৈয়দ বাড়ি সড়ক দুটি চলমান প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/জেএইচ
