চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীন বিরোধের জেরে মহানগরীর অক্সিজেন অনন্যা এলাকায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকর্মী খুনের মামলায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী ও হাটহাজারী থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় দলটির অপরপক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (৩১ আগস্ট) রাতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা মো. আনিসের স্ত্রী শামীমা আক্তার বাদী হয়ে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এর আগে ওইদিন সন্ধ্যায় যুবলীগ কর্মী মাসুদ কায়সার খুনের ঘটনায় তার ছোট ভাই বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় অপর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় সিনহা বলেন, ‘বায়েজিদ-কুয়াইশ সংযোগ সড়কের নাহার গার্ডেনের সামনে গুলিতে নিহত মো. আনিস নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী শামীমা আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে এজাহারনামীয় ৪ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।’
অপরদিকে, হাটহাজারীর কুয়াইশ-বুড়িশ্চর এলাকায় মাসুদ কায়সার হত্যার ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে বলেন জানান হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
নাম উল্লিখিত আসামিরা হলেন- নগরীর পাঁচলাইশ থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত মুহাম্মদ সাজ্জাদ এবং আওয়ামী লীগের কর্মী আরমান, জাহাঙ্গীর ও মো. হাসান। এছাড়াও আরও দুজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে আনিসকে নগরীর অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কের নাহার কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় এবং মাসুদকে হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম কুয়াইশ এলাকায় গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, চট্টগ্রামে নিহত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের এই দুই নেতাকর্মী ছিলেন হাটহাজারীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুচ গণি চৌধুরীর অনুসারী। একই গ্রুপের সাজ্জাদ, আরমানসহ কয়েকজনের সঙ্গে আধিপত্যের জেরেই খুন হন আনিস ও মাসুদ কায়সার।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস