সিপ্লাস ডেস্ক : ঈদুল আযহা উপলক্ষে চট্টগ্রামের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসছে ট্রাকভর্তি গরু। তবে হাটগুলোতে এখনও জমে ওঠেনি বিক্রি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নগর ও ১৫ উপজেলায় ২২২টি স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে স্থায়ী ৬০ ও অস্থায়ী ১৬২টি।
নগরে ১০টি হাটে পশু বেচাকেনা চলছে। অন্যগুলো ১৫ উপজেলায়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর বলেন, চট্টগ্রামে এবার ঈদুল আজহায় আট লাখ ৭৯ হাজার ৭১৩টি পশু কোরবানি দেওয়া হবে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা ও নগরের ৮ হাজার ২২০টি খামারে কোরবানিযোগ্য পশু আছে ৮ লাখ ৪২ হাজার ১৬৫টি।
পশুর বাজারগুলোতে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা, নাটোরসহ অন্যান্য এলাকা থেকে গরু এনেছেন বেপারিরা। আনোয়ারা ও বাঁশখালী থেকে নিয়ে আসা হয়েছে গরু।
সাগরিকা পশুর বাজারের ইজারাদার এরশাদ মামুন বলেন, বিক্রি কম, সামনে হয়তো বাড়বে। কোরবানের দুয়েকদিন আগে বিক্রি বেশি হয়। ট্রাকভর্তি গরু আসছে। এবার পরিবহন ভাড়াও বেশি।
সাগরিকা বাজারে গরু, ছাগল ও মহিষ বিক্রির জন্য আনা হয়েছে। বেপারিরা পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত। ক্রেতাদের ঘুরে ঘুরে গরু দেখছেন, দাম জিজ্ঞেস করছেন।
বেপারিরা জানান, এক থেকে দেড় মণ ওজনের গরুর দাম ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, দুই থেকে চার মণ ওজনের গরুর দাম দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকা, পাঁচ মণ ওজনের গরুর দাম আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা, ১০ মণ বা তার বেশি ওজনের গরুর দাম চার থেকে ছয় লাখ টাকায় পাওয়া যাবে।