সিপ্লাস ডেস্ক: বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তা কার্যকর হয়নি। অনেক ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও বিক্রেতা নির্ধারিত দামের বিষয়ে জানেন না।
আবার আলুর পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরেও দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে।
এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নেমেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় তিনটি আড়তের মালিককে মূল্য তালিকা ও ক্রয় রশিদ দেখাতে না পারায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজুল্লাহ জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলমান থাকবে।
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর বালীগাঁওয়ের চাষি মো. রাসেল গণমাধ্যমকে জানান, আমরা ৬০ কানি আলু চাষ করেছি। এবার আলু তোলার সময় বৃষ্টিতে লাখ লাখ টাকার আলু নষ্ট হয়ছে। যে আলু পেয়েছি তা চার মাসে বিক্রি করতে হবে। আগের বছর বৃষ্টির কারণে এক জমিতে ২ বার লাগাতে হয়েছে। প্রতি কেজিতে খরচ ৩০ টাকা। বিক্রি করছি কেজি ৯ টাকা। ট্রাক্টরের ডিজেল তেল, সার, ওষুধ, লেবার, জমির ভাড়া, বিদ্যুতের বিল, হিমাগারের চার্জ, গাড়ি ভাড়া, বীজের দাম সব বাড়তি।
মেসার্স মামুন ট্রেডার্সের মোহাম্মদ আবু তৈয়ব গণমাধ্যমকে বলেন, আজ মানভেদে আলু ৩৮-৩৯-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে আড়তে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে। আড়ত থেকে আলু কিনলে ৫০-৫৫ কেজির বস্তায় ১০ টাকা আড়তদারি ও ২৫ টাকা লেবার চার্জ দিতে হয়।
সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আলু খুচরা পর্যায়ে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা (হিমাগার পর্যায়ে ২৬ থেকে ২৭ টাকা) হলেও শুক্রবার নগরীর কাঁচাবাজারগুলোতে আলু ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, তারা বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করতে পারছেন না।