সিপ্লাস ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল শিগগিরই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, খুব দ্রুতই তফসিল ঘোষণা করা হবে। আমরা আশা করি, সবার সহযোগিতায় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার আলোকে যথাসময়ে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সমর্থ হবো।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছি। নির্বাচন আসন্ন এবং শেষ যে সময়টা উনিও জানলেন। আমাদের প্রস্তুতিতে রাষ্ট্রপতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে তিনি নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।
তফসিল ১৫ নভেম্বরের পরে নাকি আগে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। দ্রুত আমরা তফসিল ঘোষণা করব। কারণ সময় হয়ে গেছে।
সিইসি জানান, রাষ্ট্রপতি বলেছেন, যেকোনো মূল্যে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।
আগামী সপ্তাহে কমিশন সভা করেতে নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করতে পারে। রেওয়াজ অনুযায়ী জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতার ওই ভাষণ সম্প্রচার করবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর তৎকালীন কে এম নূরুল হুদা কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। পরে ওই বছরের ৩ নভেম্বর কমিশন সভায় তফসিল চূড়ান্ত হয়। তফসিল ঘোষণা হয় ৮ নভেম্বর।
তফসিল ঘোষণার আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের প্রস্তুতির বিষয় জানাতে বৈঠক করেছিলো হাবিবুল আউয়ল নেতৃত্বাধীন ইসি। তাতে বিএনপিসহ সমমনারা তাতে যোগ দেয়নি। যেসব দল যোগ দিয়েছে, তাদের অনেকে ভোটের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি সামনে এনেছে। কিন্তু সিইসি আগের মতই দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যা নিরসনের দায়িত্ব নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ ও অন্যান্য বিষয় গুছিয়ে ভোটের সম্ভাব্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে ডাকা হবে কমিশন সভা। সব ঠিক থাকলে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ভোট শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সহিংস কর্মসূচি পালন করছে বিএনপিসহ তার জোট শরিকরা। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন সংবিধান মেনেই হবে। কোনো দলের সঙ্গে সংলাপ করার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। সেই সময় শেষ হয়ে গেছে।