সন্দ্বীপ প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করে নতুন স্ত্রীকে ঘরে তোলার রাতেই প্রথম স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার হারামিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মাহরূপ গোমস্তার এলাকার আনোয়ার হোসেনের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আনোয়ার হোসেন ও নিহত ফাতেমার ঘরে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বরে সৌদিয়া প্রবাসি আনোয়ার হোসেন দেশে ফিরেন। এরপর থেকে অসুস্থ স্ত্রী ফাতেমা বেগমের সাথে ঝগড়া শুরু হয়। গত রবিবার রাতে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে আনোয়ার হোসেন দ্বিতীয় বিয়ে করে স্ত্রীকে ঘরে তুলেন। এই নিয়ে প্রথম স্ত্রী ফাতেমা বেগমের সাথে ঝগড়া হয়। এরপর ফাতেমা বেগমের মৃত্যুর সংবাদ আনোয়ার হোসেন নিজেই ৯৯৯-এ ফোন করে জানায়। সকালে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে বেলা ১২টার দিকে আনোয়ার হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
নিহত ফাতেমার ভাই ইউছুপের দাবি, তার বোনকে স্বামী আনোয়ার হত্যা করেছে। সে তার বোনকে সবসময় মারধর করত।
ফাতেমার মেয়ের জামাই মিনহাজ বলেন, রোববার দুপুরে আমার স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাই। আমার শাশুড়ি অসুস্থ ছিলেন। তিনি অসুস্থ জানালে আমার শ্বশুর চিকিৎসা করাতে পারবেন না বলে জবাব দেন। পরে আমরা বাড়িতে চলে আসার পর রাতে আমার শাশুড়ির মৃত্যুর খবর পাই।
এ বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার ওসি তদন্ত জাকির হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ