চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: দেশে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে পেঁয়াজ। কেবল সেঞ্চুরি করেই থেমে থাকেনি। থরথর করে বেড়ে পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়। তাইতো দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে প্রায় ৮ মাস বন্ধ থাকার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। একইসাথে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়েও ১৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
আজ রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ভারতের মহদিপুর বন্দর হয়ে ১টি ট্রাকে ২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধায় ৪টি ট্রাকে আরও ১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করেছে। আর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির জন্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ১৫০ টনের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনামসজিদ পানামা পোর্ট লিংক লিমিডেটের ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম। তিনি জানান, দীর্ঘ ৭ থেকে ৮ মাস পরে ভারত থেকে ৫টি ট্রাকে ১২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশের সোনামসজিদ স্থল বন্দরে আসে। তবে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে আবারও সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে এটা ভাল দিকে।
অপরদিকে হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির জন্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ টন করে মোট ১৫০ টনের অনুমতি দিয়েছে সরকার। তারা পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন যেকোনো সময় এবং তাদের সবধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— হিলি সততা বাণিজ্যলয়, নাশাত ট্রের্ডাস, আল মক্কা ইমপ্রেস, সুরাইয়া ট্রের্ডাস ও জগদীশ চন্দ্র রায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রায় ৭ থেকে ৮ মাস আগে ভারত সরকার বাংলাদেশের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেয়। তবে আবার পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক নূর ইসলাম বলেন, ‘সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে, তবে সেটা খুবই অল্প। এভাবে আইপি দিলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। মাত্র ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে, যা একটি ভারতীয় ট্রাকে আসবে। আগে দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টন পর্যন্ত আইপি দেওয়া হতো। কিন্ত সেটা এবার সরকার করছে না।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ