চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: এক বছরের ব্যবধানে বেকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ২০২৩ সালের চেয়ে ২০২৪ সালে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে দেড় লাখ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ হিসাবে, ২০২৪ সাল শেষে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখ। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা সাড়ে ২৫ লাখ। গত বছর বেকারের হার ছিল ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
রোববার (১৮ মে) বিবিএস ‘শ্রমশক্তি জরিপ: ত্রৈমাসিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪)’ প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এবারই প্রথম বিবিএস ১৯তম আন্তর্জাতিক শ্রম পরিসংখ্যানবিদ সম্মেলনের (আইসিএলএস) সুপারিশ অনুসারে নতুন হিসাবপদ্ধতিতে বেকারত্বের এই চিত্র তুলে ধরেছে।
বিবিএস জানিয়েছে, এই নতুন পদ্ধতি অনুসারে, যারা পারিবারিক ভোগের জন্য উৎপাদনমূলক কাজে নিয়োজিত থাকেন কিন্তু তাদের উৎপাদিত পণ্য বা সেবা বাজারে বিক্রি করেন না, তারা ‘কর্মে নিয়োজিত নন’ হিসেবে গণ্য হবেন এবং তাদের ‘বেকার জনগোষ্ঠী’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। গত প্রান্তিক (জুলাই-অক্টোবর ২০২৪) থেকেই বিবিএস এই নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করছে।
তবে, আগের ১৩তম আইসিএলএস পদ্ধতিতেও একটি হিসাব দিয়েছে বিবিএস। সেই অনুযায়ী, ২০২৪ সাল শেষে দেশে বেকার ছিলেন ২৬ লাখ ২০ হাজার তরুণ-তরুণী।
বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, সাধারণভাবে বেকার হিসেবে তাদেরই গণ্য করা হয়েছে, যারা জরিপের পূর্ববর্তী সাত দিনে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টাও কোনও কাজ করেননি, কিন্তু কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং জরিপের পরবর্তী দুই সপ্তাহেও কাজের জন্য প্রস্তুত থাকবেন। এছাড়া, যারা বিগত ৩০ দিনের মধ্যে বেতন বা মজুরি অথবা মুনাফার বিনিময়ে কোনও না কোনও কাজ খুঁজেছেন, তারাও বেকার হিসেবে বিবেচিত।
সর্বশেষ ত্রৈমাসিক জরিপ বলছে, গত ডিসেম্বর মাস শেষে দেশের মোট শ্রমশক্তিতে ছিলেন ৫ কোটি ৮৯ লাখ নারী-পুরুষ। এর মধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার এবং নারী ১ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার।
এই সময়ে দেশে ৫ কোটি ৬২ লাখ নারী-পুরুষ আগের সাত দিনে অন্তত এক ঘণ্টা মজুরির বিনিময়ে কাজ করেছেন, অর্থাৎ তারা কর্মে নিয়োজিত হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার এবং নারী ১ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার।
যারা কর্মে নিয়োজিত নন কিন্তু বেকার হিসেবেও বিবেচিত নন, তারা শ্রমশক্তির বাইরের জনগোষ্ঠী। এই শ্রেণিতে রয়েছেন শিক্ষার্থী, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক, কাজ করতে অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মে নিয়োজিত হতে অনিচ্ছুক গৃহিণীরা। গত ডিসেম্বর শেষে দেশে এমন মানুষের সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ২৮ লাখ ১০ হাজার।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন