দেড় ঘণ্টা পর সড়ক ছেড়েছে ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুতরা, যান চলাচল স্বাভাবিক

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে আজ শনিবার ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুতরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এই অবরোধ বেলা পৌনে ১টার দিকে স্থগিত করা হয়।

এতে দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে পরা গাড়িগুলো চলতে শুরু করেছে। ফলে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের যান চলাচল।

চাকরিচ্যুতি ও ওএসডি প্রত্যাহারসহ ৬ দফা দাবিতে এই অবরোধ করা হয়। সকাল  ১১টায় ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের সামনে প্রথম সড়কের এক পাশে মানববন্ধন শুরু করেন কর্মকর্তারা। পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মহাসড়ক অবরোধে নামেন তারা। এতে উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তৈরী হয় দীর্ঘ যানজট।

অবরোধকালে আন্দোলনকারীর ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, অবৈধ ম্যানেজমেন্ট মানি না মানব না, আমার ভাই ওএসডি কেন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।

চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা জানান, বিনা কারণে প্রায় ৪০০ জনকে চাকরিচ্যুত এবং আরও প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তাকে ওএসডি করে কর্মহীন অবস্থায় রাখা হয়েছে। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

পরে তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ৬ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। তবে জনদুর্ভোগের কারণে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে যানজটে আটকে পরা যাত্রীরা জানান, অবরোধের কারণে দৈনন্দিন কাজ বা জরুরি কাজে পৌঁছাতে সমস্যা হয়েছে। অনেকে ঢাকা যেতে না পেরে নিজ বাসায় ফিরে গেছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামমুখী যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেটে বায়েজিদ লিংক রোড ধরে তাদের গন্তব্যে পৌঁছেন।

সীতাকুণ্ডের বার আওলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল মোমিন বলেন, চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা সকাল ১১টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন। পরে বেলা পৌনে ১টার দিকে জনদূর্ভোগের কারণে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

এর আগে শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা ঘোষণা দেন, চাকরিচ্যুতি ও ওএসডি প্রত্যাহার, অতীতে হামলার বিচার এবং কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না। আগামী রোববার (৫ অক্টোবর) থেকে অফিসে না গিয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হবে।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top